
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার শাহবাগ মোড় শুক্রবার রাতে পরিণত হয়েছিল আন্দোলনকারীদের এক অভয়ারণ্যে। ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর ডাকে সাড়া দিয়ে শাহবাগে জমায়েত হয়েছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও ইসলামী দলগুলো। যদিও বিএনপি ও বাম দলগুলো অংশ নেয়নি, তবে স্লোগানের উত্তাপে মুখর ছিল শাহবাগ চত্বর।
রাত সাড়ে ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ের পশ্চিম পাশে স্থাপিত জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিনে শুরু হয় ভয়াল ইতিহাসের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন। শেখ হাসিনার শাসনামলের দমন-পীড়নের নানা অধ্যায় তুলে ধরা হয়। প্রদর্শিত হয় বিডিআর বিদ্রোহ, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হতাহতের চিত্রসহ বিভিন্ন সময়ের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিওচিত্র।
মঞ্চে কখনো উচ্চারিত হয় আন্দোলনের গান, কখনো জাতীয় পতাকার ছায়ায় চলছিল নীরব প্রতিবাদ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান সাদী রাত সাড়ে তিনটায় আড়াই ঘণ্টার বিরতি ঘোষণা করলে কিছু অংশগ্রহণকারী স্থান ত্যাগ করেন, কেউ কেউ আবার শাহবাগ মোড়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকে রাস্তায় রাত কাটান।
আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে বুধবার (৮ মে) রাতে, যখন এনসিপি নেতাকর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এরপর একে একে জামায়াত, শিবির, হেফাজতে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও সাধারণ ছাত্র-জনতা একাত্মতা ঘোষণা করে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শাহবাগে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা দিয়েছে, শনিবার বিকাল ৩টায় শাহবাগে আবারও গণজমায়েত হবে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালীন যেসব স্থানে অবরোধ হয়েছিল, সেসব পয়েন্টেও কর্মসূচি পালিত হবে।
বিএনপি ও বামদলগুলো এখন পর্যন্ত এই আন্দোলনে সক্রিয় না হলেও এনসিপিসহ অন্য দলগুলোর ঘোষণা স্পষ্ট: “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরছি না।”