
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রতিদিনের সড়ক অবরোধ, আন্দোলন এবং রাষ্ট্রীয় কাজে সংশ্লিষ্টদের অসহযোগিতায় গভীর হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি বলেন—যদি কাজ করতে না পারেন, তাহলে এই পদে থাকার কোনো মানে হয় না।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘‘দিনে দিনে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য নেই, প্রশাসনও সহযোগিতা করছে না। সংস্কার কার্যক্রমেও অগ্রগতি নেই। আমি কীসের জন্য থাকব?’’ তিনি আরও বলেন, “তোমরা চাও যদি, তাহলে আরেকটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করো—আমি চলে যেতে চাই।”
তিনি দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, এই বাস্তবতায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়েও তিনি সন্দিহান। ‘‘যদি নির্বাচনের সময় ব্যালট ছিনতাই হয়, তাহলে পুলিশ বা প্রশাসন তা ঠেকাতে পারবে কি না—সে বিষয়েও আমার সন্দেহ আছে,’’ উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বৈঠকে উপস্থিত উপদেষ্টাদের জানান, জনগণের সামনে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার জন্য জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার চিন্তাও করছেন তিনি। এ জন্য একটি খসড়া ভাষণ প্রস্তুত করা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে এক গণমাধ্যমকে তিনি জানান, অধ্যাপক ইউনূস ‘পদত্যাগের চিন্তাভাবনা করছেন।’
অধ্যাপক ইউনূসের এমন মন্তব্য এবং পদত্যাগের ইঙ্গিত প্রমাণ করে, অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় সরকার চলবে কি না, নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে, তা নিয়ে এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।