
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হ*ত্যা করার মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্যের এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ হবে, এমন সরাসরি হুমকিই দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, “যদি আমরা খামেনিকে হত্যা করি, যুদ্ধ আরও বাড়বে না, বরং থেমে যাবে।”
সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, তারা কি সত্যিই ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন? জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি বিস্তারিত কিছু বলব না, তবে আমরা অতীতে ইরানের শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের টার্গেট করেছি, এবং যা দরকার তাই করব।”
পারমাণবিক আলোচনায় নমনীয় ইরান?
এদিকে রয়টার্স জানায়, ইরান যুদ্ধবিরতি আলোচনা ও কূটনৈতিক সমঝোতার পথে এগোচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি প্রভাবশালী দেশের মাধ্যমে ইরান যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করেছে এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায়ও নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে।
তবে নেতানিয়াহুর দাবি ভিন্ন। তিনি বলেন, “ইরান আলোচনায় আগ্রহী নয়, এটা আমাদের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্যেই স্পষ্ট।”
ট্রাম্পের ভেটোর পরও থেমে নেই পরিকল্পনা
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প reportedly খামেনিকে হত্যার প্রস্তাবে ভেটো দেন। কিন্তু তাতেও থেমে নেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হত্যার হুমকি। নেতানিয়াহুর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, এই ‘টার্গেট অ্যাসাসিনেশন’ এখনও টেবিলেই রয়েছে।
চরম উত্তেজনা ও যুদ্ধের দোরগোড়ায় মধ্যপ্রাচ্য
বিশ্লেষকরা বলছেন, খামেনির মতো একজন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করার হুমকি মানে শুধু ইরান নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বকেই উত্তেজনার আগুনে ছুঁড়ে দেওয়া। এটি কেবল যুদ্ধ নয়, একটি ধর্মীয় ও ভূ-রাজনৈতিক বিস্ফোরণকেও ডেকে আনবে।