
আন্তর্জাতিক নিউজ করেসপন্ডেন্ট: হুসাইন আজাদ।
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফি’লিস্তিনের গাজায় নারী ও শি’শুদের ওপর নৃশংসভাবে গণহত্যা চালানো ই’সরাইলি সেনারা গাজা থেকে বাড়ি ফেরার পর ভয়ং’কর মানসিক যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
সম্পতি গাজা থেকে বাড়ি ফিরে তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করেছেন এলিরান মিজরাহি নামে (৪০) বছর বয়সী এক হা’য়েনা ই’সরায়েলি সেনা সদস্য।
গত বছর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর গাজায় লড়াই করতে পাঠানো হয়েছিল তাকে। যুদ্ধ এখনও চলমান রয়েছে। তবে এরই মাঝে গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা হয় আহত সেনা সদস্য এলিরানকে। তবে তত দিনে তিনি একজন ভিন্ন মানুষে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধ করতে গিয়ে এলিরান যা দেখেছিলেন, তাতে তিনি মানসিকভাবে বড় আঘাত পেয়েছেন। সেখান থেকে ফেরার পর চরম ট্রমায় (অবসাদ) ভুগছিলেন। এর ফল মোটেও ভালো হয়নি। পুনরায় গাজায় পাঠানোর আগেই তিনি আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছেন। এলিরানের মা জেনি মিজরাহি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার ছেলে গাজা ছেড়ে এসেছে, কিন্তু গাজা তাকে ছাড়েনি। ফলে গাজার সেই ভয়াবহ ট্রমায় আমার ছেলে আ’ত্মহত্যায় মারা গেল।
এলিরান যে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন, মনোবিজ্ঞানের চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় একটির নাম রয়েছে। একে বলা হয়, (পোস্টট্রমাটিক) (স্ট্রেস ডিজঅর্ডার) (পিটিএসডি)। গাজা থেকে ফেরার পর ইসরায়েলের হাজার হাজার সেনা পিটিএসডিসহ নানা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তবে তাদের কতজন আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ইসলামিক মনোবিজ্ঞানীদের দাবি, যখন কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ নিরাপদ মানুষদের (নারী ও শিশুদের) অন্যায়ভাবে হ’ত্যা করে, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ওপর ভয়ং’কর মানসিক যন্ত্রণা চাপিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে সে মৃত্যু থেকেও কঠিন যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে।
সূত্রঃ সিএনএন)