
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশ ছাড়ার পর একবার তিনি বিবৃতি দিয়েছেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো নিদের্শনা পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি সময়ে শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ বেশ কয়েকটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বাংলাদেশের নেটিজেনদের দাবি, ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। সেসব ফোনালাপই ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনই একটি তিন মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ফোনালাপ গতকাল রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে-ইউটিউবে প্রচার হতে দেখা গিয়েছে।
নতুন এই ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে বলতে শুনা গিয়েছে। তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেছেন ডিসেম্বর পর্যন্ত তোমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তোমাদের বাড়িঘরে যারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, তাদের বাড়িঘর নেই? সব কথা কি বলে দিতে হয়? বর্তমানে এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থতার চোখে দেখছে।
ফোনালাপের অন্য প্রান্তের কণ্ঠটি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুলের বলে জানা গিয়েছে। তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
ফোন আলাপে শেখ হাসিনা আরো বলেন, মামলা, আমারত শুধু গোবিন্দগঞ্জ না, সারা দেশে ২২৭টি মার্ডার কেস। আমি বলছি, সবাই তালিকা কর। তোমরাও তালিকা কর। ২২৭ মার্ডারের লাইন্সেস পেয়ে গেছি। এক মামলায় যে শাস্তি, সোয়া ২০০ মামলায় একই শাস্তি। তাই না। ঠিক আছে সেই শাস্তি নেব। তার আগে সোয়া ২০০ হিসাব করে নেব। এটা যেন মাথায় থাকে।
এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাসিনার কথা শুনে বলেন, ইনশাআল্লাহ, ইনশাআল্লাহ।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, এবার একবার আসতে পারলে কেউ ফেলাইতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শাকিল আলম বুলবুল ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন সন্ত্রাসী। হত্যা গুম খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে পারদর্শী হওয়ায় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ তাকে সহজেই কাছে টেনে নেন। তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বানান। চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি ধর্মীয় কাজের নামে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের মামলায় আসামি হন।