২০শে মে, ২০২৫, ২১শে জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও টাইগারদের রানের পাহাড়ে চাপা পড়লো আরব আমিরাত
গাজায় ভ’য়াবহ স্থল হা’মলা চা’লিয়ে ১ দিনে নারী-শিশুসহ ১৫০ ফিলিস্তিনি কে হ’ত্যা করেছে অ/ভি/শ’প্ত হা/য়/না ই’জ’রা’ইল
সাংবাদিকের প্রশ্নে মেসির জবাব, আমি কিছুই জানি না” তবে কি মেসির অধ্যায় শেষ হতে চলছে?
পাকিস্তানের মন্ত্রীর কারণে এশিয়া কাপ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত! ভারত এশিয়া কাপ না খেললে এশিয়া কাপ স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত হবে মন্তব্য ক্রিকেট সমর্থকদের
দুর্দান্ত টাইগার যুবাদের স্পষ্ট গোল বঞ্চিত করে ভারতকে শিরোপা উপহার দিল রেফারি! ক্রিকেট কিংবা ফুটবল, টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচ রেফারি খেলবেন না’ তা কী করে হয়?
ইউরোপ শুধু দেখছে, কিছু করছে না’ রাফাহ সীমান্তে ইতালীয় এমপিদের প্রতিবাদ
গাজায় ভয়াবহ স্থল অভিযান শুরু করল ইস*রা*য়েল: মৃত্যু–ধ্বং*সে বিপর্যস্ত উপত্যকা
গাজায় ভয়াবহ স্থল হামলা শুরু করে দিয়েছে অ*ভি*শপ্ত হা/য়/না ই’হু’দী জা’তি ই’জ’রা’ইল!
ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে দীর্ঘদিনের ভারসাম্যহীনতা, সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
কেন্দ্রের ভয়াল কারিশমায় জিপিএ ৫-এর জোয়ার: বাতিল সাড়ে ৪০০ কেন্দ্র, শিক্ষাব্যবস্থায় চরম অস্থিরতা
ইমনের টর্নেডো ব্যাটিংয়ের পর সাকিব মুস্তাফিজের বিধ্বংসী বোলিংয়ে বিধ্বস্ত আরব আমিরাত
ভয়ংকর পরিকল্পনা ফাঁস: গা*জা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন!
ভারতের স্থলবন্দরে বাংলাদেশি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্যের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত
বন্দর-করিডর দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়,সিদ্ধান্ত আসবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করে নতুন ইতিহাস গড়লেন পারভেজ ইমন!

সাংবাদিক মুন্নী সাহারা কিভাবে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন?

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: আলোচিত সমালোচিত আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক মুন্নি সাহাকে নিয়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর পোস্ট পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

সাংবাদিক মুন্নী সাহা এখন কই আছেন আমার জানা নেই। তবে তিনি অতি অবশ্যই আমার এই লেখা পড়বেন। এর মাঝে নিশ্চয় আপনারা জেনে গিয়েছেন, মুন্নী সাহার ব্যাংক একাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এর বেশিরভাগ টাকাই তিনি তুলে নিয়েছেন। এখন মনে হয় আছে ১৪/১৫ কোটি টাকা।

২০০৮ সালে সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এশিয়ান স্টাডিজে মাস্টার্স শেষ করে এক মুহূর্তও আর দেরি করি নি। সোজা বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলাম। আমার ইচ্ছে- সাংবাদিকতা করবো। কিংবা খবর পাঠ করবো। সে অনুযায়ী আবেদন করতে শুরু করলাম।

এর মাঝে ঢাকার নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হসাবে জয়েন করেছি। কিন্তু আমার তো ইচ্ছে- সংবাদ মাধ্যমে কাজ করার। তাই আবেদন করে যাচ্ছিলাম। এক সময় এনটিভি থেকে ডাক আসলো। দুইটা ইন্টার্ভিউ দেয়ার পর ফাইনাল ইন্টার্ভিউ দিতে গেলাম তখনকার এনটিভির মালিকের রুমে। তিনি আমাকে বললেন

– আপনার যে যোগ্যতা। আপনি কি আদৌ এ কাজ করবেন?

আমি হেসে বললাম

– করবো বলেই তো আবেদন করেছি।

তিনি এবার হেসে বললেন

– আপনি অনেক ভালো জায়গায় পড়াচ্ছেন। বরং সেখানেই থাকুন।

আমি এবার হেসে বললাম

– এর মানে আমার চাকরিটা হচ্ছে না; তাই তো?
– না না। আপনি চমৎকার করে কথা বলেন। আপনি চাইলে জয়েন করতে পারেন। কিন্তু আমার ধারণা আপনি যেখানে আছেন, সেখানে থাকাই ভালো।

এরপর আমাকে অফার দেয়া হয়েছিলো সংবাদ পড়তে। কিন্তু আমার মা যেতে দিলেন না। এত কিছু লেখার কারন হচ্ছে- আজ যখন দেখতে পেলাম মুন্নী সাহার ব্যাংক একাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা! তখন সোজা গিয়ে খানিক গুগল করলাম। যদিও আমি উনাকে চিনি। এরপরও ভালো করে জানার জন্য।

তিনি ইডেন কলেজ থেকে বিএসসি (ডিগ্রী) পাশ করেছেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রিলিমিনারী মাস্টার্স করেছেন। এছাড়া ভোরের কাগজ এবং এটিএন নিউজে সাংবাদিকতা করেছেন। এই হচ্ছে উনার যোগ্যতা। মানে সাংবাদিকতা করতে এসে উনার ভাগ্য খুলে গিয়েছিলো।

ঢাকায় গুলশান লিঙ্ক রোডের পাশে ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে। ব্যাংকে শত শত কোটি টাকা! তাহলে বুঝতে পারছেন তো- কারা সাংবাদিকতা করতো? আর আমরা কেমন সংবাদ পেতাম!

আমি শুধু চিন্তা করছিলাম- আমাদের পক্ষে কি এক জীবনে এত টাকা ইনকাম করা সম্ভব? পড়াশুনা পেছনেই প্রায় ৩০ বছর কাটিয়ে দিয়েছি। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স-মাস্টার্স করেছি। এরপর সুইডেনে আরেকটা মাস্টার্স। ইংল্যান্ডে পিএইচডি করে এখন এস্তনিয়ায় ছোট একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। ইউরোপে থাকছি ২০ বছর হতে চলেছে।

পৈতৃক সূত্রেই আমি মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারে মানুষ। বাবার ঢাকায় একটা অতি সাধারণ বাড়ি আছে। গ্রামে কিছু সম্পত্তি। এই টাইপ আরকি। সেই আমার পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না পুরনো বাড়িটা ভেঙে একটা নতুন বাড়ি বানানো। মানে জায়গা আছে। কিন্তু বাড়ি বানানোর টাকা নেই। আশপাশের লোকজন এসে প্রায়ই বলে- ভেঙে পড়বে না-তো!

অথচ দেখেন মুন্নী সাহারা শত কোটি টাকার মালিক বনে গিয়েছেন। কারন উনারা দিনে-রাতে বিকিয়েছেন। লিখতে গেলে অনেক কিছু লেখা যায়। কারন আমি উনাকে কিছুটা হলেও চিনি এবং জানি। শুধু এত টুকু বলি- ওই আমলে অনেক মানুষকে বলতে শুনেছি- মুন্নী সাহার মত হতে চাই।

আমি এসব শুনে ভাবতাম- একটা মানুষ, যে কিনা সকাল-বিকাল বিকোচ্ছে। ছেলে-মেয়েগুলো কিনা এর মত হতে চায়! কোন দিন শুনেছেন- কেউ এই আমাদের মত হতে চায়? যে জীর্ণ বাসায় থাকে, রিকশায় কিংবা সিএনজিতে করে এখানে-ওখানে যায়।

মুন্নী সাহাররা এমনি এমনি তৈরি হয় না। এদের তৈরি করা হয়। যাদের দেখে পুরো সমাজ এদের মত হতে চায়। শাসক গোষ্ঠী এভাবেই কিছু চকচকে মানুষ তৈরি করে রাখে। আর পুরো সমাজ ওই চকচকের পেছনেই ছুটে বেড়ায়।

লেখক-আমিনুল ইসলাম

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত