
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদক ও মানব পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিজিবি দেশের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিজিবি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির ভূমিকা ছিল অসামান্য। বিজিবির দুইজন সদস্য—বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সর্বোচ্চ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়া, ১১৯ জন সদস্য বিভিন্ন খেতাব অর্জন করেছেন এবং ৮১৭ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন, যা বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
ড. ইউনূস আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর সীমান্তবর্তী এলাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সফলভাবে কাজ করেছে। একইসঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাহিনীর কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, বিজিবির সদস্যরা দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সচেষ্ট থাকবেন।
এছাড়াও’ তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সার্বিক সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং বাহিনীর উন্নতির জন্য শুভকামনা জানান।