
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বাধীনতা হ্রাস পাবে এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি জানান, সংস্কার কমিশনের তিনটি প্রস্তাব নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ রয়েছে।
১. ইসির মেয়াদ শেষে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে তদন্তভার দেওয়ার সুপারিশ।
২. ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব।
৩. ইসির ওপর থেকে কিছু সাংবিধানিক দায়িত্ব সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, “ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা ইসির অধিকার, যা অন্য কর্তৃপক্ষের হাতে গেলে এটি সাংবিধানিক দায়িত্বের স্পিরিটের বিপরীত হবে।
নির্বাচন কমিশনের চারটি প্রধান দায়িত্ব—রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সংসদ নির্বাচন, ভোটার তালিকা তৈরি, এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ। কিন্তু এসব দায়িত্ব ইসির হাত থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবকে সিইসি অযৌক্তিক হিসেবে দেখছেন।
তিনি বলেন, “ভোটার নিবন্ধন ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব ইসির ক্ষমতা হ্রাস করবে। এটি কার্যকর হলে ইসির ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে নেওয়া হবে।
সিইসি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সময় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ডিসেম্বরের নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা এবং সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। তবে এখনো সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের আইন ও বিধি-বিধান চূড়ান্ত না হওয়ায় আমাদের কাজ আটকে আছে। আইন সংশোধন করতে না পারলে প্রস্তুতি শেষ করা কঠিন হবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সিইসি বলেন, “ইসি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয় না। তফসিল ঘোষণার সময় যেসব দল নিবন্ধিত থাকবে, তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে। দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া তফসিলের আগেই চূড়ান্ত হবে।
সিইসি আরও জানান, আইনের কাঠামো সংশোধন করতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।