৪ঠা জুন, ২০২৫, ৭ই জিলহজ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
পবিত্র মক্কা নগরীতে আজ থেকে শুরু হলো হজের আনুষ্ঠানিকতা
মিনায় যাচ্ছেন আল্লাহর মেহমানরা, ড্রোন নিরাপত্তায় নজিরবিহীন হজ আয়োজন
ত্রাণকেন্দ্রে ই*সরা*য়েলি হামলায় ২৭ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি নিহত
অবশেষে দীর্ঘ ১৮ বছর পর বিরাট কোহলির স্বপ্নপূরণ
গাজায় আজান বন্ধের নির্দেশ! এখন পর্যন্ত ৮২৮টি মসজিদ ধ্বংস করলো অ/ভি/শ/প্ত ই’স’রাইল!
ফিলিস্তিনি হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে অ/ভি/শ/প্ত ই’হু’দী ই’স’রাইলি সেনাদের ভয়াবহ হামলা
এবার কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কুরবানীর পশু
১০ই জুন বাংলাদেশ দলকে বিধ্বস্ত করতে সিঙ্গাপুর দলে ফিরলো ১১ মিনিটে ৪ গোল করে রেকর্ড করা ইখসান ফানদি
ঈদুল আজহার পাঁচ জামাতের সময় জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ইসলামের বিরুদ্ধে অপমান সহ্য করেনি আদালত: কোরআন পোড়ানোয় দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তি
ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে শত শত ফি’লিস্তিনিদের হ*ত্যা করছে অ/ভি/শ/প্ত হা/য়/না ই’সরাইল, তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের
ফলের রসে বিষ! ফরমালিন থেকে বাঁচতে ক্রেতাদের জন্য জরুরি সতর্কতা
মাদরাসা শিক্ষায় অগ্রগতি: এমপিওভুক্ত হচ্ছে আরও ১,৫১৯ প্রতিষ্ঠান
আল-আকসা আবারও ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতবিক্ষত: শত শত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর জোরপূর্বক প্রবেশে উত্তপ্ত জেরুজালেম!
৩০ দিনেই সংস্কার ও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপিঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ

ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বোমার শব্দে কেঁপে উঠেছিল পুরো জাবালিয়া। মুহূর্তেই মাটিতে মিশে গেল এক আবাসিক ভবন। ধুলো, রক্ত আর কান্নার মাঝে যখন সবাই নিথর হয়ে গিয়েছিল, তখন সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে কাঁপতে কাঁপতে বেঁচে ছিলেন এক মা—অন্তঃসত্ত্বা আলা মানুন।

তার চারপাশে কেবল কংক্রিট, রক্ত আর প্রিয়জনদের নিথর দেহ। স্বামী, ছোট্ট কন্যা আর মা—তিনজনই এই এক হামলায় ঝরে গেল। বেঁচে রইলেন শুধু আলা এবং তার গর্ভের শিশু।

স্বেচ্ছাসেবীরা যখন তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করে আনেন, তখন তাঁর চোখে ছিল বিস্ময় আর কান্না—তিনি যেন নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, তিনি এখনও বেঁচে আছেন! স্ট্রেচারে শুয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, খবরটা জানানো হলো—”তোমার সবাই চলে গেছে!”

সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আলা মানুনের কণ্ঠ। এরপর হঠাৎ করেই ছুটে এলো বুকফাটা কান্না, যা যেন গোটা গাজার কান্নাকে একসাথে ধ্বনিত করল।

জাবালিয়ার এক চিকিৎসক জানান, মানুনের গোড়ালি ভেঙে গেছে। গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থা এখনও অজানা, কারণ স্ক্যান মেশিন নেই। গাজার একমাত্র কার্যকর স্ক্যানার ছিল আল-আহলি হাসপাতালে, সেটিও ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলি বোমায়।

গাজার বাতাসে এখন শুধুই মৃত্যু আর মাতৃত্বের আহাজারি।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০,০০০। প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে শত শত শিশু—যুদ্ধের মাঝেই তারা জীবনের প্রথম নিঃশ্বাস নিচ্ছে, যেখানে দুধ নেই, ওষুধ নেই, এমনকি চিকিৎসকও নেই।

একটি প্রশ্ন আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়: এই নবজাতকেরা কী অপরাধ করেছিল? কেন একটি গর্ভবতী মাকে তার সন্তানসহ ধ্বংসস্তূপে শুয়ে থাকতে হয়?

এই খবর শুধু একটি অলৌকিক উদ্ধারের গল্প নয়, এটি এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার চিৎকার।
যেখানে শান্তি নেই, যেখানে প্রতিরোধ নেই—সেখানে কেবল কান্না, ক্ষুধা আর মৃত্যু।

গাজার মাটিতে আজও শুয়ে আছে শত শত এমন “অলা মানুন”, যারা বেঁচে আছে, কিন্তু আর কিছুই নেই তাদের কাছে।

এই অন্ধকারের মধ্যেও, সেই নারীর বেঁচে যাওয়া যেন জীবনের প্রতি এক উদাত্ত চিৎকার—
“আমি এখনো বেঁচে আছি। আর আমার গর্ভে এক নতুন জীবন ধ্বংসের মাঝেও জন্ম নিতে চায়।”

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত