১৯শে এপ্রিল, ২০২৫, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
হাসিনার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ
দেশে পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়ঃ জামায়াত সেক্রেটারি
ভারতীয় আ/গ্রাসনকে ছুড়ে ফেলে পাকিস্তানের সাথে গভীর কূটনীতিক সম্পর্কে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে আবার জিতব বললেন সাকিব” সাকিবকে রক্ত খেকোর অনুসারী আখ্যা দিয়ে সমালোচনার ঝড়
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮ আহত ১০২, বেজে উঠছে যুদ্ধের ধামামা!
ভারতকে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ও তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর বার্তা দিলেন ডক্টর. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার
জুলাই বিপ্লবে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী নেতা শাহে আলম মুরাদ পুলিশের জালে আটক!
বুড়া মানুষ গুলি খাইছে, মরলে সমস্যা নেই’ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত বৃদ্ধাকে দেখে ডাক্তারের নিষ্ঠুর আচরণে লজ্জিত সমগ্র জাতি
বেনাপোল দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ করলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার
মার্চ ফর গাজা’র হুংকারে বাংলাদেশি পাসপোর্টে হা/য়/না ই’স’রা’ইল নিষিদ্ধ, প্রশংসায় ভাসছেন ড. ইউনূস সরকার

ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বোমার শব্দে কেঁপে উঠেছিল পুরো জাবালিয়া। মুহূর্তেই মাটিতে মিশে গেল এক আবাসিক ভবন। ধুলো, রক্ত আর কান্নার মাঝে যখন সবাই নিথর হয়ে গিয়েছিল, তখন সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে কাঁপতে কাঁপতে বেঁচে ছিলেন এক মা—অন্তঃসত্ত্বা আলা মানুন।

তার চারপাশে কেবল কংক্রিট, রক্ত আর প্রিয়জনদের নিথর দেহ। স্বামী, ছোট্ট কন্যা আর মা—তিনজনই এই এক হামলায় ঝরে গেল। বেঁচে রইলেন শুধু আলা এবং তার গর্ভের শিশু।

স্বেচ্ছাসেবীরা যখন তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করে আনেন, তখন তাঁর চোখে ছিল বিস্ময় আর কান্না—তিনি যেন নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, তিনি এখনও বেঁচে আছেন! স্ট্রেচারে শুয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, খবরটা জানানো হলো—”তোমার সবাই চলে গেছে!”

সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আলা মানুনের কণ্ঠ। এরপর হঠাৎ করেই ছুটে এলো বুকফাটা কান্না, যা যেন গোটা গাজার কান্নাকে একসাথে ধ্বনিত করল।

জাবালিয়ার এক চিকিৎসক জানান, মানুনের গোড়ালি ভেঙে গেছে। গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থা এখনও অজানা, কারণ স্ক্যান মেশিন নেই। গাজার একমাত্র কার্যকর স্ক্যানার ছিল আল-আহলি হাসপাতালে, সেটিও ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলি বোমায়।

গাজার বাতাসে এখন শুধুই মৃত্যু আর মাতৃত্বের আহাজারি।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০,০০০। প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে শত শত শিশু—যুদ্ধের মাঝেই তারা জীবনের প্রথম নিঃশ্বাস নিচ্ছে, যেখানে দুধ নেই, ওষুধ নেই, এমনকি চিকিৎসকও নেই।

একটি প্রশ্ন আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়: এই নবজাতকেরা কী অপরাধ করেছিল? কেন একটি গর্ভবতী মাকে তার সন্তানসহ ধ্বংসস্তূপে শুয়ে থাকতে হয়?

এই খবর শুধু একটি অলৌকিক উদ্ধারের গল্প নয়, এটি এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার চিৎকার।
যেখানে শান্তি নেই, যেখানে প্রতিরোধ নেই—সেখানে কেবল কান্না, ক্ষুধা আর মৃত্যু।

গাজার মাটিতে আজও শুয়ে আছে শত শত এমন “অলা মানুন”, যারা বেঁচে আছে, কিন্তু আর কিছুই নেই তাদের কাছে।

এই অন্ধকারের মধ্যেও, সেই নারীর বেঁচে যাওয়া যেন জীবনের প্রতি এক উদাত্ত চিৎকার—
“আমি এখনো বেঁচে আছি। আর আমার গর্ভে এক নতুন জীবন ধ্বংসের মাঝেও জন্ম নিতে চায়।”

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত