
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বিএনপি।
রোববার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আগের তুলনায় বেশি হলেও, একটি সংবাদ গোষ্ঠী যখন আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে এবং তাতে রাজনৈতিক পক্ষগুলো জড়িয়ে পড়ে, তখন সেটি স্বাধীনতা নয়, বরং বিভাজনের জন্ম দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপিই প্রথম ১৯৭৫ সালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত করে। তার আগে বাকশালের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। আমরা নিঃসন্দেহে স্বীকার করি যে বিএনপি গণমাধ্যমের পক্ষে ছিল এবং এখনও আছে।”
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের সময়ে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের পরিমাণ ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আজকের সময়ে একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এর মধ্যেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে হবে, আর সেটির জন্য চিন্তারও স্বাধীনতা প্রয়োজন।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি কেউ ভাবেন, আমি যা বলি সেটাই ঠিক, তাহলে সেটা গণতন্ত্র নয়। একইভাবে, কোনো গণমাধ্যম আমার পক্ষে কথা বললে সেটাই ঠিক আর না বললে সেটা ভুল—এমন মানসিকতা নিয়েও গণতন্ত্র চলে না।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।