
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার তরুণদের মধ্যে দ্রুত ওজন কমানোর প্রবণতা একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সংকটে রূপ নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একধরনের ডাইরেটিক/এপেটাইট সাপপ্রেস্যান্ট ওষুধ-বাজারি নাম ‘মলিকিউল’-তরুণদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু এর বহুগুণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জেলা ও হাসপাতাল সূত্রগুলোতে উদ্বেগ বাড়ছে।
টিকটকে ভাইরাল হওয়া বিজ্ঞাপনী কনটেন্ট ও অনলাইন বিক্রির কারণে বহু কিশোর-কিশোরী অনুপ্রাণিত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বড়ি শুরু করেছে। ব্যবহারকারীরা দাবি করছিল যে মাত্র কয়েক দিনে ওজন কমে-কিন্তু পরে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীদের অনেকেই অনিদ्रा, মাথা চক্রান, হাত কাঁপা, চোখে খিলকিলি এবং গুরুতর মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি ও নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজনও পড়েছে।
স্থানীয় এক তরুণী বলেন, কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পর তার ক্ষুধা সম্পূর্ণ লোপ পায়, পানি খেতেও ইচ্ছা করে না এবং ক্রমশ মানসিক অবসাদে ভোগ করতে থাকে। একাধিক রিপোর্টে জানা গেছে, বাল্যকিশোরকেও এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকতে দেখা গেছে-কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত সেবনের পর আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষায় বক্সের লেবেলে থাকা “প্রাকৃতিক উপাদান” এর দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে; ল্যাব পরীক্ষায় নিষিদ্ধ উপাদান সিবুট্রামিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সিবুট্রামিন আগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো, কিন্তু পরে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ানোর কারণে বহু দেশে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ওষুধ সেবনের ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন।
হরমোন বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনও কাঁচামালের ওষুধ গ্রহণ করা জীবন-ঝুঁকিপূর্ণ। মলিকিউল জাতীয় ওষুধের অনলাইন ব্যবসা দমন করতে প্রশাসন কিছু ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে; তবু অবৈধ বেচাকেনা ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সাইবার প্ল্যাটফর্মে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ট্রেন্ডগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আহ্বানও উঠেছে।
প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন-ওজন কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নাও, প্রিস্ট্রিবটেড ড্রাগ এড়াও, এবং সামাজিক যোগাযোগে দেখানো “কুইক ফিক্স” ভিডিওগুলো মানা থেকে বিরত থাকো। দীর্ঘমেয়াদী পুষ্টি, নিয়মিত ব্যায়াম ও চিকিৎসক-নিয়ন্ত্রিত পরিকল্পনাই নিরাপদ উপায়।



























