
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গৃহবধূ লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যার ঘটনায় মূল আসামি আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে সে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে।
ঘটনার চারদিন আগে মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর কাজ নেন আয়েশা। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন—বাড়িতে কাজ শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই তাকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। এই অভিযোগে অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে একপর্যায়ে তিনি মা–মেয়েকে হত্যা করেন।
হত্যার পর নিজেকে আড়াল করতে নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা ছাড়েন আয়েশা এবং দ্রুত ঝালকাঠির নলছিটিতে পালিয়ে যান। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ প্রথমে সাভার থেকে আয়েশার স্বামী রাব্বীকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার নলছিটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আয়েশাকে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—আয়েশার দাবি অনুযায়ী সে একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না, নাকি এতে আরও কেউ জড়িত ছিল—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি হত্যার উদ্দেশ্য শুধুই অপমানের প্রতিশোধ, নাকি আরও কোনো লুকানো কারণ আছে—তাও তদন্তে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। দুই দিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় আয়েশাকে। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং মামলার রহস্য পুরোপুরি উদঘাটনে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে লায়লা আফরোজ ও তার কিশোরী মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই রাতেই গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র অভিযুক্ত করে নিহত লায়লার স্বামী স্কুলশিক্ষক আ. জ. ম. আজিজুল ইসলাম মামলা করেন।





























