
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি অবরোধে বিপর্যস্ত গাজা উপত্যকায় এখন ভয়াবহ মানবিক সংকট। একদিকে লাগাতার বিমান ও স্থল হামলা, অন্যদিকে খাদ্য ও ওষুধের চরম সংকটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩২৬ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, গাজায় ১৪ হাজার শিশু এখন জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের টার্গেট আগামী ৪৮ ঘণ্টায় যত বেশি সম্ভব শিশুদের বাঁচানো।”
তবে ইসরায়েল যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে, তা ফ্লেচারের ভাষায়, “সমুদ্রের একফোঁটা মাত্র”। সোমবার (১৯ মে) মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও সেগুলোর পণ্য এখনো সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছায়নি। সীমান্তবর্তী এলাকাতেই আটকে আছে শিশু খাদ্য ও ওষুধ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ১১ সপ্তাহব্যাপী অবরোধ আংশিকভাবে শিথিলের ঘোষণা দিলেও বাস্তব পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন ঘটেনি। ফ্লেচার বলেন, “আমাদের অনেক সহকর্মী নিহত হয়েছেন, তবু আমরা এখনো মাঠে আছি—হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে মানুষের জরুরি চাহিদা নির্ধারণ করছি।”
এইসবের মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ। দিন যত যাচ্ছে, ততই গা ছমছমে হয়ে উঠছে গাজার পরিস্থিতি।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর দাবি, অবিলম্বে পূর্ণ মাত্রায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি না দিলে গাজায় এক ভয়ঙ্কর গণমৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে বিশ্বকে।
সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি, ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়