
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার ভূমিতে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। চরম খাদ্য সংকট, পুষ্টিহীনতা ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৩০০-র বেশি মানুষ। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বয়োবৃদ্ধ, যারা যুদ্ধ নয়, বরং অনাহার, রোগ ও চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরা’ইলি অবরোধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে প্রায় সমস্ত হাসপাতাল। সীমিত কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেগুলো কোনোরকমে টিকে আছে, সেগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী কিংবা চিকিৎসক। হাজার হাজার মানুষ মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কোনো শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে, কেউ কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ক্রমাগত উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। তারা বলছে, গাজার এই অবরোধ মানবতার ইতিহাসে এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি হয়ে থাকবে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজায় বর্তমানে ১০ লাখের বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে। পানি, বিদ্যুৎ, ওষুধ, জ্বালানি—সবকিছুতেই ভয়াবহ অভাব।
তবে সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। অবরোধ প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য বারবার আবেদন জানানো হলেও বাস্তবে সেই ডাকে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তাই যেন এই নিষ্ঠুরতাকে আরও বৈধতা দিচ্ছে।
একজন গাজাবাসী মায়ের কণ্ঠে বিষাদের সুর—“বোমায় নয়, আমার সন্তানটা মারা গেল ক্ষুধায়।” এ কথাটি যেন আজ গোটা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে। কিন্তু তবুও গাজায় মৃত্যুর ক্যানভাস আরও রঙিন হচ্ছে রক্তে, ক্ষুধায় আর নীরব মৃত্যুর আর্তনাদে।