
আওয়ার টাইমস নিউজ।
সম্পাদকীয় কলামঃ হুসাইন আল আজাদ ইবনে নোয়াব।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফিলি’স্তিনের গাজার আকাশ এখন আর নীল নয়। সেখানে কেবল উড়ছে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া আর নিষ্পাপ শি’শুদের ক’লিজাঊঐ ছিঁ’ড়া র’ক্তে’র গন্ধ।
পৃ’থি’বীর ইতি’হাসে সব’চেয়ে নি’কৃ’ষ্ট অ’ভিশপ্ত জা’তি ই’হু’দী ই’স’রাইলি হা/য়*নাদের নৃ’শংস হা’ম’লায় পুরো গাজা এখন মা’জ’লুম ফি’লি’স্তিনি শি’শু’দের জীবন্ত ক’ব’রস্থানে পরিণত হয়েছে! মা-বাবা হারা ফি’লি’স্তিনের হাজার হাজার এ’তিম শি’শুদের মস্ত’ক বি’হীন ছি’ন্ন বি’চ্ছন্ন মৃ’ত’দেহগুলো দেখার পরও ক্ষমতার মুহে অ’ন্ধ ম’নু’ষ্যত্বহীন নি’র্লজ্জ বি’শ্ব নে’তা’রা এখন আরও ভ’য়ং’কর হিং’স্র হা/য়/না/র রুপ ধারণ করেছে ! আর ওদিকে মা’নবা’ধিকার মা’নবা’ধিকার বলে চিৎ’কা’র করা ভন্ড আ’ন্তর্জাতিক সং’স্থা’গুলো গোপনে হা’য়না দ’খ’লদার ই’স’রাইল’কে স’ম’র্থন দিয়ে যাচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফি’লিস্তিনের গা’জা ভূখণ্ডে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নি’ষ্ঠু’রতম এক গণহত্যা চলমান রেখেছে দ’খলদার ই’সরাইল, তাদের একটি বড় লক্ষ্য হলো ফি’লি’স্তিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করতে দেশটির নারী ও শিশুদের হ’ত্যা করা। আশ্চর্যের বিষয় হল, জাতিসংঘ থেকে শুরু করে শি’শু সুরক্ষা সংস্থা ইউনিসেফ পর্যন্ত যখন একের পর এক ই’সরাইলি হ’ত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করছে, ঠিক তখনও নি’র্লজ্জ মানু’ষ্যত্ব’হীন বিশ্ব নেতারা যেন এক অদৃশ্য চুক্তিতে মুখে কুলুপ এঁটে চুপ বসে আছে।
ফি’লিস্তিনের গা’জা একটি শোকস্তব্ধ পরিসংখ্যানের ভয়ংকর মৃ’ত্যু উপত্যকা!
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী….
২৪,০০০+ শিশু ইসরায়েলের বোমা হামলায় মারা গিয়েছে।
১৭,০০০+ শিশু অন্ধ, পঙ্গু বা চিরতরে বিকলাঙ্গ হয়েছে।
৩৫,০০০+ শিশু আহত— অধিকাংশই বাঁচলেও তীব্র মানসিক ট্রমা নিয়ে।
প্রায় ৫,০০০ শিশু এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে জীবিত বা মৃত— কেউ খুঁজে পায়নি।
গাজা উপত্যকায় বর্তমানে ১০ লক্ষ শিশু অনাহারে ভুগছে— যাদের মধ্যে হাজার হাজার শিশু ক্ষুধা ও পানির অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিসংখ্যান বি’শ্ব বিবেককে না জা’গালেও, প্রতিটি সংখ্যার পেছনে আছে এক একটি নি’ষ্পাপ পবিত্র শিশুর মুখ, এক একটি অসমাপ্ত স্বপ্ন, আর কলিজা ছেঁড়া কান্না।
অ’ভিশপ্ত ই’হুদী জা’তি ই’স’রাইলি হা/য়/না বাহিনী কর্তৃক ভয়া’বহ নি’শংস হামলায় হাজার হাজার ফি’লি’স্তিনি শিশুর নি’র্মম মৃ’ত্যু হওয়ার পরও নি’র্লজ্জ বি’শ্বনেতাদের নীর’বতা বিশ্ব মা’নব’তার মু’খে ক’লঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে।
ইসলাম বি’দ্বেষী প’শ্চিমা বি’শ্বের দেশগুলো ঐ’ক্যবদ্ধ হয়ে ফি’লিস্তিনকে ধ্বং’স করতে ই’সরাইলকে অস্ত্র, অর্থ এবং নৈতিক সমর্থন দিয়ে মানব স’ভ্যতার কা’লো ই’তিহাস তৈরি করছে!
আর ওদিকে পুতুল জাতিসংঘের কার্যকারিতা যেন এখন কেবল বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ, বাস্তবে জাতিসংঘ হলো নিরবতা ও নির্লিপ্ততার মুখপাত্র।
বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভ’ণ্ডামি এবং লোক দেখানো কার্যকর হীন প্রতিবাদ।
ইউনিসেফ বলছে: “গাজা এখন শিশুদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান।”
রেড ক্রস বলছে: “গাজা যেন এক চলমান মৃত্যু শিবির।”
কিন্তু এসব সংস্থাগুলো এখনও ইসরায়েলের ওপর কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।
কারণ, এই দুনিয়াটা এখন আর মানবিকতা দিয়ে চলে না, চলে লবিস্টদের টাকার খেলা, সামরিক সহযোগিতার হুমকি আর ক্ষমতার অসৎ সমঝোতা দিয়ে।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ল’জ্জাজনক ও ব্যর্থতার পরিচয় দি’চ্ছে প’শ্চিমাদের চা’টুকার ক্ষ’মতার মো’হে অ’ন্ধ মু’সলিম বিশ্বনেতারা।
তবে হ্নদয়ে রক্তক্ষরণ হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, মুসলিম বি’শ্বের নির্লজ্জ ও ক্ষ’মতালোভী নেতাদের নৈতিক মৃত্যু।
তারা মুখে ফি’লিস্তিনের জন্য লোক দেখানো মায়ার সুর দেখায়, কিন্তু বাস্তবে তারা ইজরাইল ও পশ্চিমাদের সাথে মধুর বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়।
তাদের একদল “নেতা” আছে যারা গাজার শি’শুহ’ত্যার দিনেও আমেরিকার সঙ্গে ব্যবসায়িক সফরে যায়। আরেকদল আছে যারা মুখে আল কুদসের মুক্তির কথা বলে, আর পেছনে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ই’সরায়েলের মিত্রদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ছবি তোলে।
এই নেতা-শাসকেরা ওআইসি (OIC) নামক এক মৃতপ্রায় সংগঠনের ব্যানারে জড়ো হয়ে বিবৃতি দেয়, সম্মেলন করে, কিন্তু একটি সামরিক পদক্ষেপেও সম্মত হতে পারে না, একটি তেল বর্জনের ঘোষণাও দিতে পারে না।
তারা কি পবিত্র কুরআন ষ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বলা সেই কথা ভুলে গিয়েছে?
আল্লাহ বলেন, “আর যারা নিপীড়িতদের পক্ষে দাঁড়ায় না, তাদের উপর অভিশাপ।”
(সূরা হজ্ব ২২:৩৯–৪০)
গাজা এখন “জীবন্ত শিশুদের কবরস্থান” বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে এক অভিশপ্ত অধ্যায় রচিত হলো।
বাবা হারানো এক ফি’লি’স্তিনি শিশুর আর্তনাদ…সে বলছে.“আমি ঈদের সকালে আমার বাবাকে খুঁজেছি, কিন্তু সে ছিল ধ্বংসস্তূপের নিচে।”
আরেক শিশু বলছে, “আমার মায়ের হাত কেটে গিয়েছে, আমি আর মায়ের হাতে চুমু দিতে পারি না।”
যতদিন পর্যন্ত মুসলিম বিশ্ব নেতারা ইসলাম বিদ্বেষী পশ্চিমাদের চাটুকারিতা করতে থাকবে, ঠিক ততদিন পর্যন্ত মুসলিম শিশুদের মস্ত’কবি’হীন ক্ষ’ত’বিক্ষত লাশ পথে ঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকবে।
সর্বশেষ কথা হলো, যতক্ষণ না পর্যন্ত বিশ্ব মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ই’স’রাইলের ভূখণ্ডে হা’ম’লা না চালাবে ঠিক ততদিন পর্যন্ত রক্ত খেকো ই’জ’রায়েল মুসলিম হ’ত্যা ব’ন্ধ ক’রবে না!
ইজ’রা’য়েলের নি’শংস হ’ত্যাযজ্ঞের বি’রুদ্ধে মু’স’লমানদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলো এখন পশ্চিমা ও ইসরাইলের হাসির খোরাক ছাড়া কিছুই নয়।