
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ দলটির করা আপিল গ্রহণ করে এই রায় দেন।
এর ফলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ বলেই গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবীরা।
এর আগে, ১৪ মে আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত। শুনানিতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় জামায়াতের আপিলটি খারিজ করেছিলেন আদালত। পরে পুনরুজ্জীবনের আবেদন করলে ২২ অক্টোবর আপিলটি রিস্টোর করা হয় এবং ৩ ডিসেম্বর থেকে শুনানি শুরু হয়। চার দিনের শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
জামায়াতে ইসলামীর সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর। তবে দলটির নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে একাধিক ব্যক্তি রিট করেন। হাইকোর্টে শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে দলটিকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জামায়াতের আবেদনের স্থগিতাদেশ খারিজ করেন। একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াত আপিল করে। এরপর ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিলটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
২০২৪ সালে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর জামায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণার আদেশ বাতিল করে সরকার। এরপর দলটি আবার নিবন্ধনের মামলায় আপিল করে এবং সর্বোচ্চ আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয়।