
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ব্যাটে বলে অসাধারণ পারফরমেন্স করে স্বাগতিক দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০১ রানের বড় ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ দল।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জ্যামাইকার কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিকদের ১০১ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
যদিও প্রথম ইনিংসে অল্পতেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের ইনিংস।
প্রথম টেস্টে বড় হার এড়াতে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। তবে ব্যাটিং লাইনআপ ব্যর্থ হওয়ায় প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলামের ৬৪ রানের ইনিংসই ছিল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে উজ্জ্বল দিক।
জবাবে, নাহিদ রানার দারুণ বোলিংয়ে ১৪৬ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রানা একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। ফলে প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
তরুণ ক্রিকেটার জাকেরে আলী অনিকের দৃঢ়তা ও দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই।
দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো না হলেও জাকের আলির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ২৬৮ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। মাত্র ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন জাকের। ৫ ছক্কা ও ৮ চারে ৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। সাদমান যোগ করেন ৪৬ রান এবং অধিনায়ক মিরাজের ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৪২ রান।
ফলে, ২৮৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে ক্যারিবীয়দের পতন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ৫৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা। তবে কেভাম হজ (৫৫) ও ক্রেইগ ব্রাফেট (৪৩) জুটি প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন।
তবে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম তাদের ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আসেন। তাইজুল পুরো ইনিংসে একাই শিকার করেন ৫টি উইকেট। তার দুর্দান্ত স্পিনে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫০ ওভারে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট।
২০০৯ সালের সাফল্য ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ দল।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুটি টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার তিনটি টেস্ট জয়ের মধ্য দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের সেরা সাফল্য অর্জন করল টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬৪ (সাদমান ৬৪, রানা ৫/৩২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১৪৬ (রানা ৫/৩২, মিরাজ ০/৩১)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৬৮ (জাকের ৯১, সাদমান ৪৬, মিরাজ ৪২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ২৮৭): ১৮৫ (হজ ৫৫, ব্রাফেট ৪৩; তাইজুল ৫/৫০, তাসকিন ২/৪৫)।
দর্শকদের মতামত, বাংলাদেশ দলের এই জয়ই প্রমাণ করে, সঠিক পরিকল্পনা ও দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সহজেই জয় পাওয়া সম্ভব। টাইগারদের এমন সাফল্যে ক্রিকেটপ্রেমীরা আনন্দিত।