
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: গেল ১৫ বছরে বাংলাদেশে যেসব ভয়ংকর গুমের ঘটনা ঘটেছে এসবের সাথে ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন।
আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কমিশনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, কিছু বন্দি এখনও ভারতের জেলে থাকতে পারে এমন জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
কমিশন আরও বলেছে, তারা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে ভারতে আটক থাকা যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে বের করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে। তবে, বাংলাদেশের সীমানার বাইরে এই বিষয়ে তদন্ত করা কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত।
প্রতিবেদনে দুটি বহুল আলোচিত ঘটনা গুমের কার্যক্রমের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহৃত হয়ে ভারতীয় কারাগারে উপস্থিত হওয়া সুখরঞ্জন বালির ঘটনা। দ্বিতীয়ত, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা।
বিএনপি নেতা হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, তার কারাগারের বাইরে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শোনা যেত। কথোপকথনে বলা হয়েছিল, “ওকে কখন ধরা হয়েছে? কোনো তথ্য দিয়েছে কি? এখনও কী জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে?”
২০১৫ সালে উত্তরায় আটক হওয়া সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, তাকে একটি পরিত্যক্ত সেলে আটক রাখা হয়েছিল যেখানে মেঝেতে একটি গর্ত ছিল, যা টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তাকে দেওয়া কম্বলে লেখা ছিল ‘টিএফআই,’ যা ‘টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’-এর ইঙ্গিত বহন করে।
কমিশন আরও জানায়, সে সময় র্যাব গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি সক্রিয় টিএফআই কেন্দ্র ছিল যা ঢাকার উত্তরায় র্যাব-১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের প্রাচীরঘেরা স্থাপনার ভিতরে অবস্থিত ছিল।