
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে তা শাসক হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, “আমরা একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি, যেখানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে, আর কোন মাইনোরিটি বা মেজরিটি থাকবে না।
রফিকুল ইসলাম খান এসব কথা বলেছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানা মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে।
তিনি শ্রমিকদের নিয়ে বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত করতে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শ্রমিকরা জীবন দিয়েছেন। আমরা শ্রমিকদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে চাই না, বরং তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। তিনি দাবি করেন, ইসলামী শাসন ছাড়া ন্যায়বিচারপূর্ণ সমাজ কায়েম সম্ভব নয় এবং শুধুমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, বরং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, খুন-খারাবি বন্ধ করতে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজন।
রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, “বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। গণতন্ত্রকে ভুলন্ঠিত করা হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে এবং ভারতকে আমাদের একটি করদরাজ্যে পরিণত করেছে।
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যারা নড়াচড়া করছে, তাদেরকে সতর্ক করতে চাই। ছাত্র-জনতা এখনো ঘুমায়নি এবং তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত। তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের প্রথমার্ধে সলঙ্গা থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ৩৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আনিছুর রহমান সভাপতি এবং আল আমিন মন্ডল সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের বক্তব্য একদিকে যেমন জামায়াতের রাজনৈতিক আদর্শ ও লক্ষ্যকে স্পষ্ট করেছে, তেমনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার সমালোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরেছে। শ্রমিকদের অধিকার পুনরুদ্ধারে জামায়াতের দৃঢ় অবস্থান এবং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য দেশব্যাপী রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে পারে।