
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে এক ভয়াবহ দাবানল ক্রমশই নিয়ন্ত্রোণের বাইরে চলে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা লস অ্যাঞ্জেলেস, যেখানে প্যালিসেডস এবং ইটন অঞ্চলে আগুনের তাণ্ডব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই দাবানলে এখন পর্যন্ত ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং অন্তত ১২ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
প্যালিসেডস এলাকায় ২৩,৬০০ একর জমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, আর ইটন এলাকায় পুড়েছে প্রায় ১৪,০০০ একর। আগুনের গতিবিধি এতটাই দ্রুত যে এক লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ইতোমধ্যে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দমকল বাহিনী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। হেলিকপ্টার থেকে পানি ও অগ্নিনির্বাপক রাসায়নিক ছিটানো হচ্ছে। তবে তীব্র বাতাস ও পানি সরবরাহের ঘাটতি তাদের প্রচেষ্টায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম একে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের দুর্যোগের প্রকোপ বাড়ছে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
স্থানীয়রা ফায়ার হাইড্রেন্টে পানি সরবরাহের ঘাটতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন তারা।
দাবানলের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ কেবল আর্থিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি মানুষের জীবন এবং পরিবেশের ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন এবং জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলো সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।