
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে প্রায় ২০ বছর ধরে বিদ্যমান হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে কোনো বাড়তি আতঙ্কের কারণ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান। তার মতে, এটি সাধারণ ফ্লু জাতীয় ভাইরাস, এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা জারির প্রয়োজন মনে করেনি।
অধ্যাপক সায়েদুর রহমান জানান, এইচএমপিভি চীনে প্রথম শনাক্ত হলেও সেখানে কোনো বড় সতর্কতা জারি করা হয়নি। এটি মূলত সাধারণ জ্বর, সর্দি, বা গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। তবে যাদের আগে থেকেই অন্যান্য জটিল রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ভাইরাসটি কিছুটা বেশি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৩ জানুয়ারি এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “এইচএমপিভি করোনা ভাইরাসের মতো ভয়ানক নয়। এটি ফ্লু জাতীয় একটি ভাইরাস যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজে থেকেই সেরে যায়। বাংলাদেশে এই ভাইরাস নিয়ে জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো অনুভব করতে পারেন:
জ্বর
সর্দি ও কাশি
নাক বন্ধ হওয়া
শ্বাসকষ্ট
যদিও এটি সাধারণত মৃদু উপসর্গ সৃষ্টি করে, তবে কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিম্নলিখিত পরামর্শ দিয়েছে:
১. মাস্ক ব্যবহার করা
২. ঘন ঘন সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া
৩. ঠান্ডাজনিত উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
৪. ভিড় এড়িয়ে চলা
৫. সুস্থ থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
চিকিৎসকরা মনে করছেন, এইচএমপিভি নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যাদের বয়স বেশি বা যাদের আগে থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তারা কিছুটা সতর্ক থাকবেন।
বাংলাদেশে এইচএমপিভি নতুন কিছু নয়। এটি দীর্ঘদিন ধরে উপস্থিত থাকলেও গুরুতর কোনো ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিলে এটি মোকাবিলা করা সহজ। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।