১৫ই এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
চাকরি বাঁচাতেই কি ভয়ংকর সিন্ডিকেটের কথায় উঠ বস করে কোচ ক্যাবরেরা? অবশেষে থলের বিড়াল বের হলো!
ঋণ দেওয়া টাকার উপর যাকাত আদায় করা কি বাধ্যতামূলক?
ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা
জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফানের নেতৃত্বে আনসার ও ভিডিপির ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত
ঈদ কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করে ইসলাম অবমাননার দায়ে প্রথম আলোকে ক্ষমা চাইতে হবেঃ জামায়াত আমীর
আপনি জানেন কি? মোবাইল ইন্টারনেটের অপব্যবহার আপনার কলিজার টুকরো সন্তানের মস্তিষ্ককে কিভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে! বাঁচতে হলে জানতেই হবে..
আবারও গাজায় ‘ই/স/রাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত
রমনার বটমূল থেকে শেষ হলো বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা
বরিশাল মহানগর বিএনপিতে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ত্রিমুখী বিভক্তি, ঐক্যের পথ অনিশ্চিত
পহেলা বৈশাখ উদযাপন: রমনার বটমূলে এক নতুন যুগের সূচনা

এক দুই ব্যাগ রক্তের সাথে স্যালাইন মিশিয়ে ৪ ব্যাগ রক্ত বানিয়ে রোগীদের কাছে বিক্রি করা মনুষ্যত্বহীন প্রতারক চক্র আটক

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: ময়মনসিংহে কিছু অবৈধ ব্লাড ব্যাংক চক্রের কার্যকলাপে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে, যেখানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কিছু অনুমোদিত ব্লাড ব্যাংক রক্ত সরবরাহের কাজ করছে, সেখানে অপরদিকে একাধিক নামসর্বস্ব ব্লাড ব্যাংক বিভিন্ন ক্লিনিকের মাধ্যমে রক্ত বিক্রি করছে। এসব ব্লাড ব্যাংক গুলোর সঠিক কোনো অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন কার্যালয়।

এটি গোপন রাখা হচ্ছে যে, এই অবৈধ ব্লাড ব্যাংকগুলো স্যালাইনের মাধ্যমে এক বা দুই ব্যাগ রক্তকে বাড়িয়ে তিন থেকে চার ব্যাগ রক্ত বানিয়ে বিক্রি করছে। বিশেষত নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের ক্ষেত্রে এই ধরনের কার্যকলাপ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

নিরাপদ ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস সেন্টারের পরিচালক আব্দন নূর জানান, নগরীতে এমন বেশ কয়েকটি অবৈধ ব্লাড ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলো কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা ব্যবহার না করে বিভিন্ন ক্লিনিকের মাধ্যমে রক্ত প্রদান করছে এবং প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা মেটানোর জন্য অবৈধভাবে ব্যবসা করছে।

ময়মনসিংহের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ফয়সল আহমেদ জানান, এ ধরনের চক্রের তৎপরতা সম্পর্কে তাদের কোনো prior তথ্য ছিল না। তিনি আরও বলেন, “নগরীতে নিবন্ধিত ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টারগুলোকে যদি কেউ রক্ত সরবরাহ করে, তবে তা অবশ্যই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হতে হবে। অন্যথায়, সেসব রক্ত রোগীর শরীরে প্রবাহিত করা বিপজ্জনক হতে পারে।”

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান জানিয়েছেন, এক রোগী থেকে ২২০০ টাকা নিয়ে রক্ত সংগ্রহ করা হলেও পরে দেখা যায় যে, ওই রক্তটি সঠিক ছিল না এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করা হয়।

এই পরিস্থিতির অবসানে সিভিল সার্জন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিগগিরই অবৈধ ব্লাড ব্যাংক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত