
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমতে শুরু করে। মাসব্যাপী এই মেলার শেষ দিনে মূল্যছাড়ের ঘোষণায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল তুঙ্গে।
গৃহস্থালি পণ্য, ইলেকট্রনিকস, পোশাক ও খাবারের স্টলগুলোতে বিশেষ মূল্যছাড়ের কারণে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্টলগুলোতে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে দর-কষাকষির দৃশ্য ছিল স্পষ্ট। একজন ক্রেতা জানান, “শেষ দিন হওয়ায় বিভিন্ন পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড় পাচ্ছি। তবে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় অনেক ভিড় ছিল।”
টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি স্টলের বিক্রয়কর্মী আক্তার বলেন, “আজ শেষ দিন হওয়ায় বিক্রি ভালো। তবে শৈত্যপ্রবাহের কারণে শুরুতে ক্রেতার উপস্থিতি কম ছিল।” ভিশন প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক বলেন, “সব পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড় দিয়েছি। বেচাকেনা ভালো হলেও আরও ভালো হতে পারতো।”
এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, এবারের মেলায় ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও হংকংসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিষ্ঠান ছিল মেলায়। তবে অনেক দর্শনার্থী বিদেশি স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবি করেন।
মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে দীর্ঘ সারি দেখা যায়। যাদের নিজস্ব বাহন নেই, তারা পরিবহন সংকটে পড়েন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকেরা দেড় থেকে দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকেন। অনেকে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় যানবাহন গ্রহণ করেন, আবার কেউ মূল সড়ক পর্যন্ত হেঁটে যান।
মেলার সমাপ্তি ও দর্শনার্থীদের অনুভূতি।
বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার কথা থাকলেও রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চালু থাকবে। একজন দর্শনার্থী বলেন, “আগারগাঁওয়ে মেলার পরিবেশ অন্যরকম ছিল। তবে পূর্বাচলের মেলাও ভালো। বিদেশি স্টল বাড়ানো গেলে আরও ভালো হত।”
গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন। এবারের আসর ছিল সফল ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য লাভজনক।
– রিপোর্ট: হোসেন আল আজাদ