১২ই মার্চ, ২০২৫, ১১ই রমজান, ১৪৪৬
সর্বশেষ
যাকাত না দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতি: কুরআন ও হাদিসের আলোকে কঠোর সতর্কবার্তা
যাকাত: ধনীদের জন্য পরীক্ষা, গরিবের জন্য রহমত, আর সমাজের জন্য শান্তি
পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক: আফগান মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ, মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার নারী-শিশু
পাকিস্তানে হাইজ্যাক হওয়া ট্রেনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ১৩
পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক, বেলুচ গোষ্ঠী জিম্মি যাত্রীদের হত্যার হুমকি দিয়েছে
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, অন্যান্য স্থানে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে
পাচার হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন অনেকেই: আনিসুজ্জামান
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কাল ১০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে, গ্রাহকদের জন্য সমস্যা হতে পারে
ফিতরা ২০২৫: ঈদুল ফিতরের আগে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা নির্ধারণ
দ্রুত বিচার ও শাস্তি কার্যকর: ধর্ষণ প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: ভাষার জন্য আত্মত্যাগের ইতিহাস ও তাৎপর্য

আওয়ার টাইমস টাইমস।

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে এই দিনটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালিত হয়। ভাষার অধিকার রক্ষায় ১৯৫২ সালের এই দিনে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল তরুণ ছাত্রদের রক্তে। তাঁদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে।

১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের বিভক্তির পর পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। বাংলাভাষীদের প্রতি এ অবিচারের প্রতিবাদে ১৯৪৮ সাল থেকেই শুরু হয় ভাষা আন্দোলন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে যেকোনো সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ছাত্ররা এই আদেশ অমান্য করে ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভে নামে। পুলিশ তাঁদের ওপর গুলি চালায়, শহীদ হন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলে ১৯৫৬ সালে বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায়।

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের এই ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য রক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিতে দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়।

বাংলাদেশে দিনটি শহীদ দিবস হিসেবেও পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশনার আয়োজন করে।

বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৭০০০ ভাষা রয়েছে, কিন্তু ভাষাগত বৈষম্য ও বিশ্বায়নের চাপে অনেক ভাষা বিলুপ্তির পথে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মাতৃভাষার সংরক্ষণ, বিকাশ ও ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।

২১ ফেব্রুয়ারি শুধু এক দিনের আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি ভাষার জন্য আত্মত্যাগের প্রতীক। এ দিবস আমাদের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও গৌরবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় নতুন প্রজন্মকে এ দিবসের প্রকৃত তাৎপর্য অনুধাবন করতে হবে এবং ভাষার শুদ্ধ চর্চায় মনোযোগী হতে হবে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত