
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রকাশ্য বিতর্ক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এই বিরোধের পর, যে ঐতিহাসিক চুক্তি ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য গভীর সংকট তৈরি করতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা সহায়তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়, তবে অনেকেই ধারণা করছেন যে, মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষত, এই বিতর্কের পর ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। সম্প্রতি, ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য মিথ্যা প্রপাগান্ডা তৈরি করেছেন। এই ঘটনায়, ইউক্রেনের সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক একটি নতুন ঘূর্ণনে প্রবেশ করেছে।
গত কয়েক বছর ধরে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধে অর্থ এবং সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের পর, এই নীতি পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়, বরং ইউরোপীয় নিরাপত্তা সম্পর্কেও গুরুতর প্রশ্ন তৈরি করেছে।
ন্যাটো সম্পর্কিত উদ্বেগও বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কির অনুরোধ ছিল, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর অবস্থান নিতে, তবে ট্রাম্প সেই অনুরোধ উপেক্ষা করেছেন এবং পুতিনের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার পক্ষে ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে, ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সমর্থন কীভাবে চলতে থাকবে? এবং ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য নিরপেক্ষ অবস্থান নেয় কিনা, সে বিষয়ে আরো নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সারা বিশ্বে এই সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে, এবং এটি ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।