
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: রমজান মাসে সিয়াম সাধনা করা মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দায়িত্ব। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কারণ দীর্ঘ সময় উপবাসের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রমজানে সঠিক খাদ্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এখানে রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি সুস্থ খাদ্য তালিকা দেয়া হলো:
ইফতার (Breaking the Fast)
খেজুর ও পানি: রোজা ভাঙার সময় প্রথমে একটি খেজুর ও পানি খাওয়া ভালো। খেজুর শর্করা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তবে খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়।
সূপ: স্যুপ, বিশেষত সবজি স্যুপ বা চিকেন স্যুপ, পেটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং সহজে হজম হয়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: মুরগির মাংস, ডাল বা স্যালমন মাছের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। প্রোটিন শরীরের শক্তি যোগায় এবং ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক।
শাক-সবজি: সবুজ শাক-সবজি, যেমন পালং শাক, কুচি করা গাজর বা কাকরো (কাকর) খাওয়া ভালো, কারণ এতে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সেহরি (Pre-Dawn Meal)
ওটস বা ব্রাউন রাইস: সেহরির খাবারে অল্প পরিমাণে ওটস বা ব্রাউন রাইস রাখা উচিত, কারণ এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শক্তি দেয়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: সেহরিতে ডিম, ডাল বা দই খাওয়া উপকারী। এগুলো শরীরের পেশীকে শক্তি দেয় এবং খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ফলমূল: সেহরিতে আপেল, কমলা বা পেঁপে খাওয়া যেতে পারে, কারণ এসব ফল পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রয়োজনীয় টিপস
পানি: পুরো রমজান মাসে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরি ও ইফতার পরবর্তী সময়ে একযোগে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
সিরাপ বা মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন: ইফতার বা সেহরিতে রস, মিষ্টি পানীয় বা চা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এতে অতিরিক্ত শর্করা প্রবাহিত হতে পারে।
কম তেলে রান্না করা খাবার: তেল, মশলা বা ভাজা খাবারের পরিমাণ কম রাখতে হবে। অতিরিক্ত তেল বা চর্বি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।
বিশেষ সাবধানতা:
রক্তে শর্করা ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং শরীরের শক্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য খাদ্য গ্রহণের সময়সূচী এবং পরিমাণ সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন, যা হজমে সাহায্য করে এবং শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এভাবে, ডায়াবেটিস রোগীরা রমজান মাসে সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে তাদের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হতে পারেন।