
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল প্রস্তুত হচ্ছে এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের জন্য। এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে লাল-সবুজের দল। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের সেই স্মরণীয় জয়ের পর বহুবার সুযোগ এলেও শেষ মুহূর্তে হার এড়ানো সম্ভব হয়নি, বিশেষ করে সুনীল ছেত্রীর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে।
বাংলাদেশ দলের চিরশত্রু ভারতের প্রস্তুতি ও সুনীল ছেত্রীর প্রত্যাবর্তন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ভারতীয় দলে বড় চমক নিয়ে এসেছেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রী। ইনজুরিতে থাকা লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে ও মানভির সিংয়ের অনুপস্থিতিতে ভারতীয় শিবিরে আশার আলো হয়ে ফিরেছেন এই তারকা স্ট্রাইকার। ৪৮৯ দিন পর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছেন তিনি, যা ভারতের আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
গোলপোস্টের নিচে অভিজ্ঞ বিশাল কাইথ ও রক্ষণভাগে রাহুল ভেকে এবং সন্দেশ ঝিঙ্গান প্রতিপক্ষের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবেন। এছাড়া, ঘরের মাঠে স্বাগতিক দর্শকদের উন্মাদনা ভারতের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ও হামজা চৌধুরীর ঐতিহাসিক অভিষেক।
বাংলাদেশ দলও ম্যাচের আগে কঠোর অনুশীলন চালিয়ে গেছে। তবে ভারতের চেয়ে একটি দিক থেকে পিছিয়ে আছে লাল-সবুজের দল। সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প ও প্রায় এক মাসের অনুশীলন করলেও কোনো প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি তারা। বিপরীতে, ভারত গত ১৯ মার্চ মালদ্বীপের বিপক্ষে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, যা তাদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।
তবে বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি। ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দলে ইউরোপীয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফুটবলারের অন্তর্ভুক্তি বিরল ঘটনা, যা বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
ম্যাচটিতে হামজা ও সুনীল ছেত্রীর দ্বৈরথ বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছেন, হয়তো এবার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতকে হারানোর নতুন ইতিহাস গড়বে লাল-সবুজের দল।