
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে শক্তিশালী ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণহানি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়ে গেছে, আহত হয়েছেন ৩৪০০-র বেশি মানুষ। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত মান্দালয় শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ধসে পড়েছে প্রায় ১৫০০ ঘরবাড়ি।
ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা জানাচ্ছেন, চাপা পড়া মানুষের আর্তচিৎকার এখনও শোনা যাচ্ছে, কিন্তু প্রচুর কাঠামো ভেঙে পড়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিখোঁজদের সন্ধান করছেন।
শুক্রবারের (২৮ মার্চ) মূল ভূমিকম্পের পর একাধিক আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যার মধ্যে ৬.৪ মাত্রার একটি কম্পন ১২ মিনিট পরেই আঘাত হানে। একদিনের মধ্যে আরও কয়েকবার মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, যা আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে, পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও ভূমিকম্পের প্রভাব দেখা গেছে। রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে, যেখানে কমপক্ষে ১০০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভবনটি ক্রমশ আরও নিচে দেবে যাচ্ছে, ফলে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে মিয়ানমারের মান্দালয়, সাগাইং, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার্ন শান রাজ্য এবং রাজধানী নেপিডোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দলগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।