
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট:;আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগ ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত একটি নির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি তুলছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের মতে, নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানিয়ে দেওয়া হলে জনমনে আস্থা ফিরবে, রাজনীতিতেও স্থিতিশীলতা আসবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। কখনো ছয় মাস, কখনো এক বছর—এভাবেই সময়সীমা নির্ধারণ করে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে দলটি। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দুই দফা বৈঠকেও নির্বাচন প্রসঙ্গে আশ্বস্ত হতে পারেনি তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, “একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ থাকলে জনগণের মধ্যেও স্বস্তি আসবে। এতে বোঝা যাবে নির্বাচন কবে, কীভাবে হবে, এবং দলগুলো কেমন প্রস্তুতি নেবে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ ও অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে।
একই সুরে কথা বলেছেন দলটির আরেক নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক সম্মান বজায় না রেখে যদি দলগুলো সংঘর্ষের দিকে ধাবিত হয়, তাহলে স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতার সুযোগ তৈরি হয়।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতারাও রোডম্যাপ ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ থাকলে দ্বিধা-সন্দেহের অবসান হতো। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেও রাজনৈতিক নির্দেশনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, রোডম্যাপ চাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি যুক্তিযুক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যে নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় জানতে চায়, তা একদম যৌক্তিক। তারা নির্বাচন ঠেকাতে নয়, বরং সময়মতো নির্বাচন চায়। এতে দলীয় প্রস্তুতির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।”
উল্লেখ্য, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—নির্বাচনের দুই মাস আগে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। তবে বিরোধী দলগুলো এ অবস্থানে সন্তুষ্ট নয়। তারা বলছে, রাজপথের পরিবর্তে আলোচনার টেবিলেই সংকটের সমাধান হওয়া উচিত।