
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে সংঘটিত আলোচিত অভিযানে প্রাণ হারানো ৯৩ জন শহীদের নাম-পরিচয়সহ একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ১১ বছর পর প্রকাশিত এই তথ্যকে “খসড়া” হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হেফাজতে ইসলামের জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র কেফায়েতুল্লাহ আজহারী গণমাধ্যমকে জানান, “এই ৯৩ জনের তালিকা এখনো চূড়ান্ত নয়। প্রাথমিকভাবে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এটি তৈরি হয়েছে, আরও যাচাই-বাছাই চলছে।”
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে কওমি মাদরাসাভিত্তিক ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ইসলামবিরোধী ব্লগারদের শাস্তি ও নারী নীতির প্রতিবাদে ১৩ দফা দাবি নিয়ে রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করে। সারাদিন অবস্থান শেষে রাতভর তারা অবস্থান অব্যাহত রাখলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায়। রাত ৩টার দিকে শুরু হয় গুলিবর্ষণ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেলের ভয়াবহতা। অভিযোগ রয়েছে, অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাও অংশ নেয়।
সেই সময়ের মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিবিসির ঢাকা প্রতিনিধি মার্ক ডামেট এবং তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ঘটনার প্রত্যক্ষ অনুসন্ধান চালান। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ ও ৬ মে’র সংঘর্ষে অন্তত ৫৮ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সাতজন ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। অপরদিকে, মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ তাদের ফেসবুক পাতায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট ৬১ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছিল।
হেফাজতের সর্বশেষ তালিকায় নিহতদের বিস্তারিত তথ্য, নাম, ঠিকানা এবং পরিবার সম্পর্কে তথ্যও যুক্ত রয়েছে। তালিকাটি যাচাই করে দেখা গেছে, নিহতদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ছিলেন যুবক।
এখন দেখার বিষয়, সরকার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই নতুন তথ্য প্রকাশের পর কোনো প্রতিক্রিয়া জানায় কি না।