
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: শীতের মরসুম শুরু হয়েছে। চারপাশের সবাই হালকা সোয়েটারেই আরাম বোধ করছে, কিন্তু কিছু মানুষ ঠান্ডা সহ্য করতে পারছে না। এর কারণ কেবল শীতের তীব্রতা নয়; শরীরের ভিটামিন বা খনিজের ঘাটতিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
স্বাভাবিকভাবে মানুষের শরীর প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ধরে রাখে। এটি বজায় রাখতে মস্তিষ্ক, হরমোন এবং রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা একত্রে কাজ করে। শীত বা গরমে শরীরের এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকেই বলা হয় থার্মোরেগুলেশন।
যদি এই প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়, তাহলে শীত বেশি লাগতে পারে। বিশেষত নিম্নলিখিত কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ:
ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি
ভিটামিন বি১২ শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি ও স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যদি শরীরে এই ভিটামিন কম থাকে, রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। ফলস্বরূপ হাত-পায়ের তাপমাত্রা দ্রুত কমে এবং শীত বেশি লাগে। মাছ, ডিম, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবারে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।
ফোলেট (ভিটামিন বি৯) এর অভাব
ফোলেট রক্ত তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাব হলে শীতের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ে এবং সহজেই ক্লান্তি অনুভূত হয়। সবুজ শাক, বিনস এবং লেবুজাতীয় খাবারে ফোলেট পাওয়া যায়।
আয়রনের ঘাটতি
শরীরে আয়রনের অভাব হলে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না এবং বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়। ডাল, সবুজ শাক ও ড্রাই ফ্রুট নিয়মিত খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা যায়।
ভিটামিন সি প্রয়োজন
ভিটামিন সি আয়রনের শোষণে সাহায্য করে। যদি ভিটামিন সি কম থাকে, আয়রনসমৃদ্ধ খাবারেও পুরো উপকার পাওয়া যায় না। লেবু, পেয়ারা, আপেল ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে ঠান্ডা সহ্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
শীতের তীব্রতা ও চারপাশের পরিবেশের পাশাপাশি শরীরের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি আপনার শীত অনুভূতিতে বড় প্রভাব ফেলে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যা অনেকটা কমানো সম্ভব।





























