৯ই মে, ২০২৫, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
“যেকোনো সময় ভারত ভূখণ্ডে ভয়াবহ হামলা হবে” হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ই’স’রা’য়েলি প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের ২৫‘টি ড্রোন ধ্বংস করে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে গর্জে উঠল পাকিস্তানি সেনারা
এবার গোপনে দেশ থেকে পালালেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ! ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ
১৭ ও ২৪ মে শনিবারে ছুটি নেই, খোলা থাকবে সব অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
পাল্টাপাল্টি হামলায় ভারত-পাকিস্তানে নিহত ৪১, আহত শতাধিক
পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রতিক্রিয়া জানালো পরাশক্তি বন্ধু দেশ চীন
ভারত পাকিস্তান ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ৫ ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস
যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া আজ ভারতের সর্বত্র, পাকিস্তানের সতর্কবার্তা ও জাতিসংঘের সংলাপ আহ্বান
পাকিস্তানে ভারতের হামলা লজ্জাজনক বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বাংলাদেশের ভূমিকম্প নিয়ে উদ্বেগ: বড় বিপদের আশঙ্কা

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্পের ঘটনা বাড়ছে। গত সাত দিনের মধ্যে দুইবার কেঁপে উঠেছে দেশ, আর গত তিন মাসে মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এগুলো বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে।

বিশ্বের ভূমিকম্পপ্রবণ ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষ তালিকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা ছাড়াও সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। বুয়েট ও সরকারের যৌথ সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়তে পারে। এতে তৈরি হবে সাত কোটি টন ধ্বংসস্তূপ।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানই ভূমিকম্পের অন্যতম কারণ। দেশটির ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট অতিক্রম করেছে। শত শত বছর ধরে এই প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প না হওয়ায় সেখানে শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে, যা লাখ লাখ প্রাণহানি ঘটাতে সক্ষম।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বাংলাদেশ। ঢাকার ভবনগুলোর অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ, আর অপরিকল্পিত গ্যাস ও বিদ্যুতের লাইন পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আশপাশে তিনটি টেকটোনিক প্লেট রয়েছে—ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। এসব প্লেট প্রতি বছর প্রায় ৫ সেন্টিমিটার করে সরছে, যা ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি তিব্বতে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ নিহত হন। এই ভূমিকম্পে তিব্বত ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারতও প্রভাবিত হয়।

বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা দিন দিন জোরালো হচ্ছে। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় উন্নত পরিকল্পনা ও সচেতনতা তৈরি এখন সময়ের দাবি। ভবন নির্মাণে মান নিশ্চিতকরণ এবং ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে প্রস্তুতি না থাকলে ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হবে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত