১২ই মার্চ, ২০২৫, ১১ই রমজান, ১৪৪৬
সর্বশেষ
যাকাত না দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতি: কুরআন ও হাদিসের আলোকে কঠোর সতর্কবার্তা
যাকাত: ধনীদের জন্য পরীক্ষা, গরিবের জন্য রহমত, আর সমাজের জন্য শান্তি
পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক: আফগান মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ, মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার নারী-শিশু
পাকিস্তানে হাইজ্যাক হওয়া ট্রেনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ১৩
পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক, বেলুচ গোষ্ঠী জিম্মি যাত্রীদের হত্যার হুমকি দিয়েছে
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, অন্যান্য স্থানে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে
পাচার হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন অনেকেই: আনিসুজ্জামান
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কাল ১০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে, গ্রাহকদের জন্য সমস্যা হতে পারে
ফিতরা ২০২৫: ঈদুল ফিতরের আগে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা নির্ধারণ
দ্রুত বিচার ও শাস্তি কার্যকর: ধর্ষণ প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজন

দ্রুত বিচার ও শাস্তি কার্যকর: ধর্ষণ প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজন

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে ধর্ষণের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, এবং এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও যথেষ্ট সাফল্য আসেনি। ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অনেকসময় মানুষ রাস্তায় নেমে আসে, এমনকি গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটছে। এসব পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধর্ষণ মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হলে, এই ধরনের অপরাধ কমানো সম্ভব হবে।

২০২০ সালে আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হলেও, ধর্ষণের ঘটনা কমেনি। গত কয়েক বছরে ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা বেশ কিছু ধর্ষণ ও ধর্ষণ শেষে হত্যার মামলায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, তবে বিচার প্রক্রিয়ার বাকি দুটি ধাপ সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় লাগছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ধর্ষণের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হয়, তবে তা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তবে এই বিষয়ে ইতিবাচক উদাহরণও রয়েছে। কুষ্টিয়ায় ২০২০ সালে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় তিন কার্যদিবসে রায় দেওয়া হয়। এছাড়া, ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার শেষ করা হয়েছে ১৩ কার্যদিবসে। এরই মধ্যে, কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার সম্পন্ন হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিলম্বিত হচ্ছে মামলা নিষ্পত্তি।

এছাড়া, মামলার জট, বিচারক সংকট, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিলম্ব এবং সাক্ষী-অসামাজিক পক্ষের অসহযোগিতার মতো বাধাগুলি বিচার প্রক্রিয়ার গতি মন্থর করে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মামলা নিষ্পত্তির গতি বাড়ানোর প্রস্তাবও উঠছে।

তবে, যত দ্রুত বিচার কার্যকর হবে, ততই সমাজে এর প্রতিকূল প্রভাব পড়বে, এবং ধর্ষণের মতো অপরাধগুলো কমানো সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত