২৯শে এপ্রিল, ২০২৫, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
আবারো লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের অনুরোধ
পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ল ভারতীয় কোয়াডকপ্টার, মুহুর্তেই গুলি করে ধ্বংস করল পাক সেনাবাহিনী
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরমে, পদত্যাগের ঘোষণা ইসরায়েলি গোয়েন্দাপ্রধানের
দেশ আজ এক অদৃশ্য যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে,সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
২৯ এপ্রিল: ইতিহাসের সেই ভয়ংকর রাত, যাকে আজও ভুলতে পারেনি বাংলাদেশ
শপথ নিলেও মাত্র ১৫ দিন মেয়র থাকতে পারেন ইশরাক হোসেন! বেড়েই চলেছে আইনি অনিশ্চয়তা
গাজায় ‘লাইভ সম্প্রচারে গ/ণ/হ/ত্যা’: ই/স/রা/য়ে/লের বিরুদ্ধে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললো আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
যুদ্ধবিরতির পরও থেমে নেই বোমা: ই/স/রা/য়ে/লি হামলায় লেবানন জ্বলছে, হিজবুল্লাহর ক্ষোভ
বজ্রপাতের শব্দে নবীজি (সা.) যে দোয়া পড়তেন—জেনে নিন রক্ষা পাওয়ার উপায়
বজ্রপাত: প্রকৃতির শক্তির পেছনে বিজ্ঞান এবং পূর্বাভাসের রহস্য

বজ্রপাত ঠেকাতে কোটি টাকা খরচ, প্রকল্প ব্যর্থ—কোথাও নেই ফলাফল!

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে জুন—এই তিন মাস বজ্রাঘাতে প্রাণহানির হার বিশ্বে সর্বাধিক। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি বছর দেশে প্রায় ৮৪ লাখ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে, যার ৭০ শতাংশই এই মৌসুমে। ভয়ংকর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধে একের পর এক প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও বাস্তবে সেগুলো হয়ে উঠেছে ব্যর্থতার গল্প।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খোলা মাঠ, হাওর-বাঁওড়, খেত-খামারে বজ্রাঘাতে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। হাওরাঞ্চলের মানুষ বজ্রপাতকে এখন মৃত্যুর ছায়া হিসেবে দেখছে। কিন্তু জীবন বাঁচাতে নেওয়া প্রকল্পগুলো কার্যত হয়ে দাঁড়িয়েছে কাগুজে পরিকল্পনা আর অর্থের অপচয়ের এক নির্মম উদাহরণ।

২০১৬ সালে বজ্রপাতকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। এরপর বজ্রপাত প্রতিরোধে নেয়া হয় একাধিক প্রকল্প। প্রথম দিকে তালগাছ লাগানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয়। কোটি তালের আঁটি রোপণের কথা বলা হলেও বাস্তবে সেগুলোর কোনো হদিসই মেলেনি। কয়েক বছর পর দেখা গেল, আঁটি হারিয়ে গেছে, চারা মরে গেছে, আর অর্থের গলদিঘি হয়েছে বিশাল।

পরবর্তীতে স্বীকার করা হয়, তালগাছ প্রকল্প ভুল ছিল। কারণ, একটি তালগাছ পরিপূর্ণ হতে ৩০-৪০ বছর সময় লাগে। তাই প্রকল্প বাতিল করা হয়। কিন্তু ততদিনে শত কোটি টাকার সম্পদ কোথায় গেল, তার কোনো জবাব নেই।

তালগাছের ব্যর্থতার পর আশার আলো দেখাতে আনা হয় আরেক প্রকল্প—লাইটেনিং অ্যারেস্টার স্থাপন। ১৫টি জেলায় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে পরিকল্পনা হয় ৩৩৫টি বজ্রনিরোধক দণ্ড বসানোর। বাস্তবে দেখা গেল, বেশিরভাগ জায়গায় দণ্ড বসানোই হয়নি। বরং প্রকল্পের অর্থ চুরি হয়ে গেছে বলে উঠে এসেছে তদন্তে।

আজও বজ্রপাত ঠেকাতে নেওয়া প্রকল্পগুলোর ফলাফল প্রশ্নের মুখে। মাঠে-ময়দানে বজ্রাঘাতে প্রাণ যাচ্ছে, আর কোটি কোটি টাকা গচ্ছা যাচ্ছে অদৃশ্য খাতে।

শেষ কথা হলো: প্রকল্পের নাম দিয়ে কাগজে কলমে পরিকল্পনা হয়, বাস্তবে মাঠে থাকে শুধু শূন্যতা আর হারানো প্রাণের দীর্ঘশ্বাস।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত