
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র জানায়, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী সারারাত সেখানে অবস্থান নেন। শুক্রবার সকাল ৮টায়ও তাদের স্লোগানে মুখরিত ছিল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের এলাকা।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক বক্তব্যে বলেন, “সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। আমরা বারবার সেই দাবি তুলেছি, কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আবারও রাজপথে ফিরে এসেছি।”
এর আগে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ রাত ১০টার দিকে কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরপর একে একে সেখানে উপস্থিত হন এনসিপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী নেতারা।
রাত গভীর হলেও আন্দোলনটি আরও বিস্তৃত হতে থাকে। রাত একটার পর ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা যমুনার সামনে এসে যোগ দেন। পরবর্তীতে এবি পার্টি এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারাও বিক্ষোভে অংশ নেন।
এই অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যমুনার সামনে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা সড়কেই অবস্থান করছেন এবং সরকারবিরোধী নানা স্লোগানে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলেছেন। তাদের স্লোগানগুলো ছিল:
“ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর”,
“খুনি লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না”,
“আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে”,
“ক্ষমতা না, জনতা — জনতাই ঠিক করবে ভবিষ্যৎ”।
এ কর্মসূচিতে এনসিপির পাশাপাশি ‘জুলাই ঐক্য’, ‘আপ বাংলাদেশ’, ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’, ‘ইনকিলাব মঞ্চ’, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী ও ‘ছাত্র পক্ষ’সহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।
বিক্ষোভের পাশাপাশি, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার সার্ক ফোয়ারার সামনে গণজমায়েতেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো বলছে, তারা দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।