
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্টাফ রিপোর্টার: সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা ঘিরে দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই তিনি বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে ছদ্মবেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ত্যাগ করেন। তার পরনে ছিল লুঙ্গি, গেঞ্জি ও মাস্ক। এ যেন রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের ছায়ায় পরিচালিত এক নাটকীয় অপারেশন।
বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা খুবই বিরল—যেখানে কোনো সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে এত গোপনে দেশ ত্যাগ করেন এবং সেই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একটিও প্রশ্ন উত্থাপন করে না। বিমানবন্দরের উপস্থিত পুলিশ, এভসেক, সিভিল এভিয়েশন ও ইমিগ্রেশন—সব প্রতিষ্ঠান ছিল নির্বিকার।
আবদুল হামিদের ছেলেসহ স্বজনরাও পরে একই ফ্লাইটে যোগ দেন। বিমানটি ছিল ব্যাংকক হয়ে দিল্লিগামী, আর তার ফেরার টিকিট রয়েছে ১৬ জুনের। যদিও তার প্রকৃত গন্তব্য কিংবা ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে রয়েছে ঘনীভূত জল্পনা।
যে ‘লাল পাসপোর্ট’ তিনি ব্যবহার করেছেন, সেটি ইস্যু হয়েছিল রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকালে, যার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত। অথচ বর্তমান পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হলেও, তারটি বহাল থাকা—নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এই গোপন ও অভূতপূর্ব প্রস্থানের পেছনে রাজনৈতিক পুনঃগঠন, নিরাপত্তা শঙ্কা না বিশেষ রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা—তা এখনও স্পষ্ট নয়। সরকার এখনো এ বিষয়ে নীরব। ফলে জনমনে প্রশ্ন—এটি কি এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কৌশলী পালায়ন, নাকি ভবিষ্যতের কোনো ছায়া-রাজনীতির সূচনা?