
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রাজনীতি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য দিতে গিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন নিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। কিন্তু কথা বলার মাঝপথেই ঘটলো অপ্রীতিকর এক ঘটনা। তাঁর মাথার দিকে আচমকা ছুঁড়ে মারা হয় একটি পানির বোতল। মুহূর্তেই পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হতভম্ব উপদেষ্টা এরপর কোনো কথা না বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বুধবার রাত ১০টার কিছু পর রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যান তিনি। তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বক্তব্য দিতে চাইলেও, উপস্থিত কিছু শিক্ষার্থীর অসন্তোষ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। হঠাৎ করেই তাঁর মাথার দিকে ছুঁড়ে ফেলা হয় পানির বোতল।
প্রায় ১৫ মিনিট পর, শিক্ষার্থীদের ভিড় থেকে একটু দূরে গিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি বলেন, “আমি আজ কারও নাম বলছি না। তবে মিডিয়া ও প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে, খুঁজে বের করা—এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা কী।” তিনি আরও যোগ করেন, “এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, দীর্ঘদিনের হিংসা ও পরিকল্পনার ফল। অনলাইনে যারা বিদ্বেষ ছড়ায়, তাদের একজনই আজ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
তবে রাত ১২টার দিকে আন্দোলনরত ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ছাত্রদলের এক নেতার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তিনি জানান, “এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দায়ী নন।”
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত। এ দাবিগুলোর পক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের একটি লংমার্চ কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এতে সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। আহত হন বহু শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
দিনভর চলা এই কর্মসূচিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। বিকেলের দিকে শিক্ষকদের একটি দল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।