
আওয়ার টাইমস নিউজ।
অর্থনীতি: ডলারের বাজারে অস্থিরতা রোধে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান এক ঘোষণা দিয়েছেন—যদি কোনো ব্যাংক ইচ্ছাকৃতভাবে ডলারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়াতে চায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে আয়োজিত ‘সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে মাসিক বিশ্লেষণ (এমএমআই)’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে বাজারে হস্তক্ষেপ করবে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি যদি কাঙ্ক্ষিত সীমার বাইরে চলে যায় বা টাকার অবমূল্যায়ন বেশি হয়ে যায়, তাহলে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয় হাতিয়ার আমাদের রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমের ওপর তদারকি বাড়ানো হয়েছে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে রেফারেন্স রেটের কাছাকাছি দরে ডলার লেনদেনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, “উন্নয়নের জন্য বড় কোনো সংস্কারের দরকার হয় না, বরং কার্যকর নীতি ও সঠিক বাস্তবায়নই যথেষ্ট। জাপান মাত্র ১৫ বছরে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিল। অনেক এশীয় দেশও একইভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।”
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। প্রতি মাসেই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির পরিস্থিতি বিশ্লেষণে এই আয়োজন চলবে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাইদি সাত্তার ও সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান।
ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায়
বাজারভিত্তিক ডলারের দামের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার দুই দিন পরও এখন পর্যন্ত বাজারে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। অধিকাংশ ব্যাংক ১২২ টাকার মধ্যেই ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছে। কিছু ব্যাংক ১২২ টাকায় রেমিট্যান্স কিনে ১২৩ টাকায় বিক্রি করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিনই রেফারেন্স রেট প্রকাশ করছে, যা বর্তমানে ১২১ টাকা ৯৯ পয়সা। ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে, রেফারেন্স রেটের কাছাকাছি দরে লেনদেন করার জন্য। বাজারে এখন পর্যন্ত ডলারের দামে বাড়তি চাপ পড়েনি, বরং কিছুটা কমতিই লক্ষ্য করা গেছে।