
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ভয়াবহ যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। শুক্রবার (১৬ মে) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ঐতিহাসিক ডলমাবাহচে প্রাসাদে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপের মধ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান আলোচনার শুরুতে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের সামনে দুটি পথ রয়েছে—একটি শান্তির দিকে, অন্যটি ধ্বংস ও মৃত্যুর দিকে। উভয় পক্ষই নিজেদের সিদ্ধান্তে ঠিক করবে কোন পথে এগোবে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের অর্ধেক সদস্য সামরিক পোশাকে উপস্থিত ছিলেন, অন্যদিকে রাশিয়ান প্রতিনিধিরা ছিলেন স্যুটে। বৈঠকে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা, অপহৃত ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।
ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান জানান, ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি, শিশুদের ফেরত এবং বন্দি বিনিময় ছাড়া তারা শান্তির আলোচনায় অগ্রসর হবেন না।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধের অবসান চায় এবং আলোচনায় প্রস্তুত। তবে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে সেনাদের বিশ্রাম, অস্ত্র ও সৈন্য সংগ্রহ করতে পারে—এমন আশঙ্কাও তারা প্রকাশ করে।
বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “এই যুদ্ধে বাস্তব অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন আমি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন মুখোমুখি বসব।”
এই আলোচনা ভবিষ্যতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের জন্য একটি সম্ভাবনার ভিত্তি গড়ে তুলবে বলেই মত আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের।