
আওয়ার টাইমস নিউজ।
মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক: ২০২৫ সালের হজ উপলক্ষে পবিত্র আরাফার ময়দানে অনুষ্ঠিত খুতবায় ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেন মসজিদুল হারামের সাবেক ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) আরাফার ময়দানের মসজিদে নামিরাহ থেকে দেওয়া খুতবায় তিনি বলেন, “হে আল্লাহ, ফিলিস্তিনের জনগণকে সাহায্য করুন এবং তাদের শত্রুদের ধ্বংস করুন।” তিনি আরও বলেন, “হে আল্লাহ, ফিলিস্তিনের শহীদদের ক্ষমা করুন এবং আহতদের সম্পূর্ণ আরোগ্য দান করুন।”
খুতবায় ইমাম মুসলমানদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার, সৎকর্মে একে অপরকে সহযোগিতা করার এবং তাকওয়া অবলম্বনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মুসলমানদের উচিত পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, সত্য কথা বলা এবং সমাজে ঐক্য বজায় রাখা।
ইমাম সালেহ বলেন, ইসলাম ধর্মের তিনটি স্তর রয়েছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর হলো ‘ইহসান’। আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করতে হবে যেন তিনি আমাদের সামনে উপস্থিত। তিনি আরও বলেন, সৎকর্ম পাপসমূহকে মুছে দেয় এবং লজ্জাশীলতা বা হায়া হলো ঈমানের একটি শাখা। ইসলামের শিক্ষা অনুসারে প্রতিশ্রুতি পূরণ, নম্রতা প্রদর্শন এবং দান-যাকাতের গুরুত্বও তিনি তুলে ধরেন।
হজের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আরাফায় অবস্থান পালনের জন্য বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই হাজিরা আরাফার ময়দানে পৌঁছাতে শুরু করেন। তারা সেখানে ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে না থাকার নির্দেশনা দেয়।
হাজার হাজার হাজি আরাফার জাবালে রহমত ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন, যেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ প্রদান করেছিলেন। সূর্যাস্তের পর হাজিরা মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে রাত যাপন ও শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য কঙ্কর সংগ্রহের পর তারা মিনায় যাবেন।
১০ জিলহজ মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ, পশু কোরবানি এবং মাথা মুণ্ডিয়ে ইহরামমুক্ত হবেন। এরপর কাবা শরিফে তাওয়াফে জিয়ারত ও সাঈ সম্পন্ন করবেন। ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে তারা মিনায় অবস্থান করবেন এবং পরে নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে যাবেন।