
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি গোপন তথ্যভিত্তিক অভিযানে সংঘর্ষে ১৪ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অভিযানে অংশ নেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। নিহতদের ‘ভারতীয় প্রক্সি বাহিনীর সদস্য’ বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা।
বুধবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দত্ত খেল এলাকায় ‘ফিতনা আল খোয়ারিজ’ নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপস্থিতি শনাক্ত করে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তীব্র গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে সেনাবাহিনী, যেখানে ১৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীটি ‘ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তাপ্রাপ্ত’ এবং দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। তাই তাদের নির্মূল করতে এলাকায় ‘স্যানিটাইজেশন অভিযান’ অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, “মানবতার শত্রু ও সন্ত্রাসীদের হীন উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না। দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ চিরতরে নির্মূল করতে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে।”
সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়মিত গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। ইসলামাবাদভিত্তিক একটি থিঙ্কট্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৫ সালের মে মাসেই পাকিস্তানে ৮৫টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১৩ জন, যার মধ্যে রয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, বেসামরিক নাগরিক এবং জঙ্গিরাও।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, এই ধরনের অভিযান চলবে যতক্ষণ না পুরো এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণা করা যায়।