
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেসলা-স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের মধ্যে তৈরি হওয়া প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাস্ককে হুমকি দিয়ে বলেন, তিনি যদি ডেমোক্রেট প্রার্থীদের অর্থায়ন করেন, তবে সেটির জন্য তাকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হতে পারে।
ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি ও সরকারি চুক্তি পায়, সেগুলো বাতিলের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হতে পারে। যদিও পরবর্তীতে তিনি জানান, সে বিষয়ে এখনও তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
এই দ্বন্দ্ব একসময় ছিল কেবল কথার লড়াই, কিন্তু এখন তা পৌঁছেছে ব্যক্তিগত কটাক্ষ ও সামাজিক মাধ্যমে একে অপরকে আক্রমণের পর্যায়ে। মাস্ক তার একাধিক পোস্টে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন এবং এক পোস্টে প্রয়াত অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়েও ইঙ্গিত করেন—যদিও পরে সেই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।
এদিকে ট্রাম্প এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এগুলো পুরোনো ও পুনরাবৃত্তি করা গল্প, যার মধ্যে নতুন কিছু নেই।
তবে এই দ্বন্দ্ব কতটা বাস্তব, তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নানা মত ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। বিশেষ করে কিউঅ্যানন ও কিছু কনস্পিরেসি থিওরিস্টরা বলছেন, ট্রাম্প ও মাস্কের এই বিরোধ আসলে ‘কেফ্যাব’—অর্থাৎ রেসলিংয়ের ভাষায় বলা হয়, এটি সাজানো নাটক। তাদের দাবি, এই কৌশলের পেছনে উদ্দেশ্য হলো ডেমোক্রেটদের বিভ্রান্ত করা এবং জেফরি এপস্টেইনের গোপন দলিল সামনে আনার দাবিকে আরও জোরালো করা।
তাত্ত্বিকদের মতে, মাস্ক ও ট্রাম্প মিলে এই নাটক সাজিয়ে মিডিয়া ও জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। এমনকি জানা গেছে, মাস্কের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যের পর ট্রাম্প নাকি একাধিক ঘনিষ্ঠজনকে ফোন করে পুরো পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনাপ্রবাহে আমেরিকার রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই দ্বন্দ্ব আদতে কোন দিকে মোড় নেয়—এটা কি সত্যিকারের ক্ষমতার লড়াই, নাকি নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত একটি রাজনৈতিক কৌশল?