
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা ১২ দিনের ইরান-ইসরাইল সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন এখনো স্পষ্ট। ১৩ জুন শুরু হওয়া এই সংঘাতের মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় বিপুল পরিমাণ বস্তুগত ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরাইল। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৯ হাজার ক্ষতিপূরণ দাবির আবেদন জমা পড়েছে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরনোথ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষের পর ইসরাইলি ট্যাক্স অথরিটি-র ক্ষতিপূরণ তহবিলে মোট ৩৮,৭০০টির মতো আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
৩০,৮০৯টি ভবন ক্ষতির অভিযোগ,
৩,৭১৩টি যানবাহন ক্ষতির অভিযোগ,
এবং ৪,০৮৫টি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সম্পদ ক্ষতির আবেদন।
এছাড়া ইসরাইলি ওয়েবসাইট বেহাদ্রে হারেদিম জানায়, শুধু তেলআবিবেই এসেছে ২৪,৯৩২টির বেশি আবেদন, আর আশকেলোন শহরে এসেছে ১০,৭৯৩টি আবেদন।
তবে এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দাবির অর্থমূল্য ঠিক কত হতে পারে, সে বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা হয়নি।
যুদ্ধের পটভূমি:
১৩ জুন থেকে ইসরাইল ইরানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা শুরু করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইলের অভ্যন্তরে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করে।
ইসরাইলের দাবি, তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ইরান বরাবরের মতোই এই অভিযোগ কঠোরভাবে অস্বীকার করেছে।
সবশেষে, এই ১২ দিনের সংঘর্ষের অবসান ঘটে ২৪ জুন রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্য দিয়ে। তবে সংঘাতের পরিণতি এখনো দেশদুটির জনগণের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে।
তথ্যসূত্র: Anadolu Agency, Yedioth Ahronoth, Behadrei Haredim, Al Jazeera