
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইল–ইরান ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হলেও সেই যুদ্ধ নতুন এক পরিকল্পনার দ্বার খুলে দিয়েছে— পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত ও ইসরাইলের সমন্বিত হামলার ছক। সম্প্রতি এই গোপন পরিকল্পনার নানা প্রমাণ উঠে এসেছে, যা সোশ্যাল মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সাময়িকী ফরেন পলিসি, ইউরোপীয় গবেষণা ওয়েবসাইট মডার্ন ডিপ্লোমেসি, এবং জিও টিভিসহ বিভিন্ন সূত্র বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সামরিক সহযোগিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এখন শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং যৌথ সামরিক অভিযানের দিকেও এগোচ্ছে।
২০১৭ সালে মোদির ইসরাইল সফরের পর থেকেই কাশ্মীর দখল ও দমননীতিতে ইসরাইলি কৌশল অনুসরণ শুরু হয়। হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ এবং ইহুদিবাদ এখন একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কাশ্মীরে মুসলিম জনসংখ্যাকে হিন্দু জনসংখ্যায় রূপান্তরের পরিকল্পনাও ফিলিস্তিনে ইসরাইলের ভূমিকা থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির ভূরাজনীতি বিভাগের পরিচালক মেইর মাসরি পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি ভেঙে ফেলার ডাক দেন। ভারতীয় এক্স ব্যবহারকারীরাও পাকিস্তান আক্রমণের পক্ষে নানা পোস্ট দিয়েছে।
কানাডার অধ্যাপক জুলিয়ান স্পেন্সার-চার্চিল মডার্ন ডিপ্লোমেসিতে প্রকাশিত প্রবন্ধে বলেন, “ইরানকে নিষ্ক্রিয় করার পর পাকিস্তানই হবে ইসরাইলের পরবর্তী লক্ষ্য।” তিনি বলেন, ভারতকে ঘাঁটি করে পাকিস্তানে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালানো হতে পারে। সিন্ধু ও পাঞ্জাব ভাগ করে পাকিস্তানকে দুর্বল করে দেওয়ার আশঙ্কাও তুলে ধরেন।
এদিকে সাম্প্রতিক ভারত-ইসরাইল অস্ত্র চুক্তি আরও বড় অশনিসংকেত। আদানি গ্রুপের মাধ্যমে ইসরাইলি ড্রোন হার্মিস-৯০০ ভারতে তৈরি হচ্ছে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়। তবে পাকিস্তান সফলভাবে কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান কোনো লেবানন, গাজা বা ইরান নয়। দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ও শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে যুদ্ধ জটিল ও মারাত্মক রূপ নিতে পারে। মে মাসে পাকিস্তান চারটি রাফায়েলসহ সাতটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে—যা ভারতের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও ইসরাইলের এই জোট শুধু মুসলিমবিরোধী একটি মতাদর্শের ফল, যা দক্ষিণ এশিয়ায় এক বিপজ্জনক সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করছে।
সূত্র: জিও টিভি, ফরেন পলিসি, মডার্ন ডিপ্লোমেসি