আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল তাদের সেনাবাহিনীর নিহত এবং আহত সদস্যদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্যানুযায়ী, গাজায় সংঘটিত লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮০০ সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৩৮১ জন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে। সর্বশেষ এক সেনা নিহত হওয়ার বিষয়টি ইসরায়েলি সামরিক কতৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। নিহত সেনা ইসরায়েলের কফির ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। একই ঘটনায় আরও একজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ চার হাজার মানুষ।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজায় ভবন ধ্বংসের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৫ বছর সময় লাগতে পারে এবং এর জন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি প্রয়োজন। ধ্বংসস্তূপগুলো একত্রিত করলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকেরও বেশি। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেন, “অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে। ইসরায়েলি হামলায় গাজার খান ইউনিস অঞ্চলে এমন কোনো ভবন নেই, যেখানে হামলা চালানো হয়নি। এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে গেছে।”
ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণে ধ্বংসস্তূপের পাহাড় তৈরি হয়েছে, যা এই অঞ্চলের মানচিত্রকেই বদলে দিয়েছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই গাজাকে নতুন এক রূপে উপস্থাপন করছে।
তথ্য সূত্রঃ আল জাজিরা।