আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী বছরের নতুন পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথার গল্প। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাবলিও নতুন বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান এক গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যে, নতুন পাঠ্যবইয়ে দেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হবে এবং পুরনো পাঠ্যক্রমের কিছু অংশ আংশিকভাবে পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের পাঠ্যক্রমে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি হবে। তবে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক আংশিক সংশোধনের মাধ্যমে ২০১২ সালের বাতিল করা শিক্ষাক্রমের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা হবে।
গত ১৭ বছরে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত থাকা শেখ হাসিনার বিভিন্ন ছবি এবং উদ্ধৃতি এবার বাদ দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পাঠ্যপুস্তক কোনো দলের প্রচারণার মাধ্যম হতে পারে না। শিক্ষার্থীরা বইয়ের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন ও সঠিক ইতিহাস জানতে চায়, কোনো রাজনৈতিক বার্তা নয়।
নতুন বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা, মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবন এবং জাতীয় চার নেতার ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। চেয়ারম্যান আরও জানান, এই নেতাদের অবদান মুছে ফেলার সুযোগ নেই। ইতিহাসের সঠিক চিত্র তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।
৬৯, ৯০, এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাবলি শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণের সুযোগ দিতে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকেন্দ্রিক দেশের বিভিন্ন স্থানে আঁকা গ্রাফিতিও নতুন বইয়ে থাকবে।
এদিকে, আগামী জানুয়ারিতে যারা দশম শ্রেণিতে উঠবে, তারা সংশোধিত ২০১২ সালের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী বই পাবে।
পাঠ্যবইয়ের এই পরিবর্তন ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন বই ছাপার কাজ এরইমধ্যে পুরোদমে শুরু হয়েছে।