
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক হামলার পর নতুনভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রণাঙ্গন। ইসলামপন্থি সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা আলেপ্পো ও হামা দখল করে হোমসের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
হোমস কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। এটি রাজধানী দামেস্ক ও পশ্চিমাঞ্চলের আসাদ সমর্থিত এলাকাগুলোর সংযোগস্থল। বিদ্রোহীরা এই শহর দখল করলে এটি তাদের জন্য বড় জয় এবং আসাদের শাসনের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠবে।
এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাদের প্রধান লক্ষ্য আসাদ সরকারকে উৎখাত করা।
অন্যদিকে, আসাদ সরকার ও তার মিত্ররা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চাপের মুখে। রাশিয়া এবং ইরান অতীতে শক্তিশালী সহায়তা দিলেও বর্তমানে তাদের সামরিক সহায়তা সীমিত। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার মনোযোগ এবং ইরানের সরাসরি সংঘাতে আগ্রহের অভাব এতে প্রভাব ফেলছে।
তবে ইরান সীমিত সামরিক উপকরণ ও পরামর্শ দিয়ে আসাদকে সহায়তা করার চেষ্টা করছে। হিজবুল্লাহও লেবানন থেকে কিছু যোদ্ধা পাঠিয়ে হোমসের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আসাদের টিকে থাকা অনেকাংশে বিদ্রোহীদের অভ্যন্তরীণ বিভক্তির ওপর নির্ভর করছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ঐক্যের অভাবে অতীতেও আসাদ লাভবান হয়েছেন।
সিরিয়ার ভবিষ্যৎ এখন রাশিয়া, ইরান, ও তুরস্কের মতো দেশগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। তারা সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করে আসাদের শাসন ধরে রাখবে নাকি নতুন সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।