
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। তাঁরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, দাবি পূরণ না হলে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান জোবায়েরপন্থীরা। লিখিত বক্তব্যে উত্তরার জামিয়াতুল মানহাল আল কওমিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী বলেন, টঙ্গী ইজতেমা ময়দান ও কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। টঙ্গী ইজতেমায় সংঘর্ষ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের সকল কার্যক্রম শুরায়ে নিজামের অধীনে পরিচালিত করতে হবে।
গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে জোবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার জেরে ১৯ ডিসেম্বর জোবায়েরপন্থীদের পক্ষ থেকে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় সাদপন্থীদের ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক শ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ এরই মধ্যে মামলার এক আসামি মুফতি মুয়াজ বিন নূরকে খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে জোবায়েরপন্থীরা দাবি করেছেন, পুরো ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জোবায়েরপন্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাঁদের দাবিগুলো পূরণ না হলে ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। তাঁরা জানান, কাকরাইল মসজিদ তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হওয়ায় এখানে কর্মসূচি পালন করবেন।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান এবং তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের কারণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ করার দাবিতে জোবায়েরপন্থীদের কঠোর অবস্থান এবং অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা সরকারকে দ্রুত সমাধানের দিকে এগিয়ে নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।