১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৫ই শাবান, ১৪৪৬
সর্বশেষ
বাংলাদেশ থেকে নেপালে রপ্তানি হলো ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু
মোদির কাছে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ: ট্রাম্পের মূর্তিবদ্ধ মন্তব্য, “আমি এটা মোদির হাতে ছেড়ে দেব”
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, সত্যিই কি তাই? জানুন এর সত্যতা কতটুকু
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইলন মাস্কের ভার্চুয়াল বৈঠক: নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত?
শবে বরাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন
আজ পবিত্র শবে বরাত, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের রাত
পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধের শেষ, শান্তির নতুন আশা!
ইসরায়েলি রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার, অস্ট্রেলিয়ায় দুই স্বাস্থ্যকর্মী বরখাস্ত

লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে অলৌকিকভাবে রক্ষা পেল ডেভিড স্টেইনারের বাড়ি

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের তাণ্ডবে পুড়ে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। কিন্তু ম্যালিবু এলাকার একটি তিনতলা বাড়ি অবিশ্বাস্যভাবে অক্ষত রয়েছে। ৯ মিলিয়ন ডলারের এই বাড়িটির মালিক ৬৪ বছর বয়সী ডেভিড স্টেইনার, যিনি টেক্সাসের একজন প্রাক্তন বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা।

দাবানলের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে ডেভিড তার পরিবার নিয়ে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় তার কাছে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও আসতে থাকে, যা দাবানলের ভয়াবহতা তুলে ধরে। কিন্তু আগুন নেভার পর ফিরে এসে তিনি দেখেন, আশপাশের সবকিছু ধ্বংস হলেও তার বাড়ি পুরোপুরি অক্ষত। এমনকি বাড়ির দেয়ালেও নেই কোনো ক্ষতির চিহ্ন।

ডেভিডের ভাষায়, “যখন আগুন ছড়াতে শুরু করল, তখন মনে হয়েছিল আমার বাড়িটি আর বাঁচবে না। কিন্তু ফিরে এসে দেখলাম আমাদের বাড়িটি অক্ষত। এটি এক অলৌকিক ঘটনা ছাড়া কিছু নয়।

ডেভিডের বাড়িটি বিশেষ নকশায় তৈরি, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার উপযোগী। অগ্নি-প্রতিরোধক ছাদ, নিরেট পাথর এবং শক্তিশালী প্রলেপ দিয়ে তৈরি এই বাড়ির দেয়াল। এছাড়া মাটি থেকে ৫০ ফুট গভীরে গর্ত করে স্থাপন করা হয়েছে বাড়ির মূল কাঠামো।

এই নকশা ভূমিকম্প, দাবানল এবং বড় ধরণের ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে বাড়িটি দাবানলের তাণ্ডবেও রক্ষা পেয়েছে।

ডেভিডের বাড়ির ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে করছেন, আবার কেউ বাড়ির নির্মাণশৈলীর প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

ডেভিড ও তার পরিবার বাড়িটির নাম দিয়েছেন “লাস্ট হাউজ স্ট্যান্ডিং”, যার অর্থ “ধ্বংসস্তুপের শেষ বাড়ি”। এই ঘটনার পর বাড়িটির নির্মাণ পদ্ধতি নিয়ে আরও গবেষণা শুরু হয়েছে, যা ভবিষ্যতে দুর্যোগ প্রতিরোধে নতুন পথ দেখাতে পারে।

এই গল্পটি শুধুমাত্র প্রকৃতির ধ্বংসাত্মক শক্তির বিপরীতে মানবসৃষ্ট উদ্ভাবনের শক্তিকে তুলে ধরেনি, বরং প্রমাণ করেছে যে সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তি দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা কার্যকর হতে পারে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত