
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এটি বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে। তবে এই চুক্তি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, চুক্তিটি বাস্তবায়ন করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই যুদ্ধবিরতি তিনটি ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপে বন্দি বিনিময়, ইসরাইলি সেনাদের জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া, এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও বন্দি বিনিময় এবং ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই ধাপে উল্লেখিত শর্তগুলো ভঙ্গের আশঙ্কা বেশি।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুরু থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন। তার অবস্থান বরাবরই হামাসকে ধ্বংস করার পক্ষে। বিশ্লেষকদের ধারণা, নেতানিয়াহু বন্দি বিনিময়ের পর পুনরায় হামাসের ওপর আক্রমণ চালাতে পারেন। তার রাজনৈতিক দল এবং অতি-ইহুদিবাদী মন্ত্রীরা যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে, এই চুক্তির মাধ্যমে গাজার ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে। ইসরাইলের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই চুক্তি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, চুক্তির শর্তাবলী অনেক ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট। বিশেষ করে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার নিয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এই অস্পষ্টতা ভবিষ্যতে চুক্তি ভঙ্গের পথ তৈরি করতে পারে।
গাজার পুনর্গঠন ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা
মার্কিন পরিকল্পনায় গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে ইসরাইলের আপত্তি এবং হামাসের শক্তি পুনর্গঠনের সম্ভাবনা চুক্তির সফলতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। একতরফা যুদ্ধবিরতি বা সাময়িক চুক্তি দিয়ে এটি সম্ভব নয়। একটি কার্যকর রাজনৈতিক কাঠামো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এই চুক্তিকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা